এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ সেপ্টেম্বর : শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ-খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মাঝে আচমকা হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । তারপর মাইক হাতে নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন । অল্প কিছুক্ষণ বক্তৃতা দিয়েই ফের সেখান থেকে চলে যান মমতা ব্যানার্জি । এদিকে মমতার ওই অল্প সময়ের বক্তৃতায় কতবার তিনি “আমি” ও “আমার” শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন তা গুনে গুনে ধরিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই গননার একটা ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া হল,’আসলে উনি “আমিত্বের” ঘোরে রয়েছেন ।’
তিনি এনিয়ে লিখেছেন,’শুধু “আমি” ও “আমার” ছিয়াত্তর বার! গতকাল দুপুরে হঠাৎ করে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে উপস্থিত হয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে এক তরফা ভাষণ দিলেন, সেই ৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের মধ্যে উনি “আমি” ও “আমার” শব্দ দুটি ছিয়াত্তর (৭৬) বার আওড়েছেন! আসলে উনি “আমিত্বের” ঘোরে রয়েছেন। ওনার ব্যক্তিত্ব জুড়ে শুধুই “আমি”, ১৩ বছর প্রশাসন চালিয়েও “আমরা-য়” উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। এই মনোভাব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান সূত্র বের করা খুব কঠিন।’
আসলে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শেষ করতে একটা মিমাংসা সূত্র দিয়ে শনিবার বিক্ষোভ মঞ্চে গিয়েছিলেন । ‘বড় দিদি’ হিসাবে তিনি ডাক্তার পড়ুয়াদের কর্মবিরতি শেষ করে আলোচনার প্রস্তাব দেন। সেই মোতাবেক কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উপস্থিত হন ডাক্তারি পড়ুয়ারা । কিন্তু বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে টানাপোড়েনের দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কার্যত চুড়ান্ত অপমান করে সেখান থেকে ‘তাড়িয়ে দেন’ । এদিকে ফের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জি ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দুষছে বিজেপি । অন্যদিকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের দায়ি করছে তৃণমূল ।।