এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ এপ্রিল : ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউবিএসইডিসিএল)-এর দ্বারা বিদ্যুতের শুল্ক স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি অভিযোগ করেছেন যে শুল্ক স্ল্যাব পুনর্বিন্যাসের উদ্দেশ্য হল গ্রাহকদের পকেট থেকে আরও বেশি টাকা বের করে আনা । তিনি মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে ‘চতুরভাবে উপভোক্তাদের লুটপাট’ করার অভিযোগ তুলেছেন
শুভেন্দু অধিকারী প্রমানসহ নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন,’ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউবিএসইডিসিএল) নীরবে শুল্ক স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে যাতে গ্রাহকদের পকেট থেকে আরও বেশি টাকা তোলা যায়। এটি একটি খুবই চতুর পদক্ষেপ. শুল্কের হার বাড়ানো হয়নি তবে বিদ্যমান স্ল্যাবগুলি এমনভাবে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে যাতে গ্রাহককে শেষ পর্যন্ত অনেক বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে।’
তিনি লেখেন,’মে-জুলাই ত্রৈমাসিকের জন্য জেনারেট করা একজন গ্রাহকের ত্রৈমাসিক বৈদ্যুতিক বিলের উপর মুদ্রিত স্ল্যাবের সংশোধিত হার এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। অদ্ভুতভাবে, বিভিন্ন গ্রাহকরা তাদের সাম্প্রতিক বৈদ্যুতিক বিলগুলিতে বিভিন্ন ধরণের স্ল্যাব কাঠামো পাচ্ছেন।বিলে মুদ্রিত সংশোধিত স্ল্যাবের উপর ভিত্তি করে, আমি দুটি সম্ভাব্য বৈদ্যুতিক বিল গণনা করেছি।
দৃশ্যকল্প ১ : যেখানে বিদ্যুৎ খরচ ৩০০ ইউনিট।
ভোক্তাকে ১৯৪৮.৬০ টাকা দিতে হবে পুরাতন স্ল্যাব অনুযায়ী । কিন্তু স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করার কারণে, গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ২৩৫১.১৮ টাকা ।
দৃশ্যকল্প ২ : যেখানে বিদ্যুৎ খরচ ১,০০ ইউনিট।
ভোক্তাকে পুরাতন স্ল্যাব অনুযায়ী ৭৪৫৬.০৪ টাকা দিতে হত । কিন্তু স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করার কারণে, গ্রাহককে ৮৮০৫.১৮ টাকা দিতে হবে ।’ শুভেন্দুর অভিযোগ,তথ্য প্রকাশ না করেও এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উপভোক্তাদের লুটপাট করছে ।’।