এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘রেজিস্টার্ড লায়ার‘ বলে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী । আজ সোমবার বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন,’মমতা ব্যানার্জি যে রেজিস্টার্ড লায়ার সেটা নীতি আয়োগের মিটিংই তার প্রমান । আমি নীতি আয়োগের মিটিং-এ ভারতীয় জনতা পার্টি বা কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধিদের কথার ছেড়ে দিলাম । নীতি আয়োগের যে সিও আছেন, তিনি একজন আমলা । তিনি কোন দলের লোক নন । তিনি মমতা ব্যানার্জির মিথ্যাচার, ভন্ডামি, ড্রামা,নাটক সব ফাঁস করে দিয়েছেন মানুষের কাছে । মমতা ব্যানার্জি যে সকাল থেকে রাত্রি অব্দি একটা সত্যি কথাও বলেন না সেটা আবার প্রমাণ করলেন ।’
আসলে আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে জেতা সুমন কাঞ্জিলাল। কয়েক মাস আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন । আজ তার বিধানসভায় বিজেপি বক্তার তালিকায় রাখা হলে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে বিজেপি বিধায়করা । প্রতিবাদে তারা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন । এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন,’বিরোধীদের কে বলবে এটা শাসক দল বা স্পিকার ঠিক করতে পারেনা । প্রশ্ন উত্তর স্পিকারের হাতে । আমার বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ হতে পারে জানি কিন্তু তবুও বলব এখানকার অধ্যক্ষ বিধানসভার অধ্যক্ষ না তৃণমূলের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছেন সেটাই বোঝা যাচ্ছে না ।’
বিজেপির বক্তা তালিকায় সুমন কাঞ্জিলালের নাম রাখার প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’সুমন কাঞ্জিলালকে নিয়ে মমতা ব্যানার্জি নির্বাচনে একাধিক মিটিং করেছেন । তার ভাইপো মিটিং করেছেন । গলায় জোড়া ফুলের প্রতীক চিহ্ন লাগানো উত্তরীয় বা অঙ্গবস্ত্র পড়িয়েছেন । তাকে আজকে বিধানসভায় বিজেপির সদস্য হিসেবে বলছেন । তাই অগণতান্ত্রিক, অবৈধ এবং এইরকম সুযোগ সন্ধানী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করতে বাধ্য হয়েছে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বঙ্গভঙ্গ নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে বাস্তবে কোন মিল নাই ।’ তিনি অধ্যক্ষ এবং বিধানসভার নেতাদের পরামর্শ দেন যে ‘সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে কিভাবে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে সেটা দেখুন ।’।