এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালি কাণ্ডে ‘বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ তুলে ধরেছেন রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । আজ বীরভূমে জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনা ঘটেছে, ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে, প্রথমে ইডিকে পাঠিয়েছে, তারপরে বন্ধু বিজেপি ঢুকেছে ইডিকে সাথে নিয়ে, আর কিছু মিডিয়া ঢুকেছে, ঢুকে তিলকে তাল করছে, শান্তির পরিবর্তে আগুন লাগাচ্ছে ।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটিসি সেলের ইনচার্জ অমিত মাল্য । তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘জন্মগত মিথ্যাবাদী’ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানকে বাঁচানোর অভিযোগ তুলেছেন ।
বীরভূমে মমতা ব্যানার্জির জনসভায় বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপিং এক্স হ্যান্ডেলের শেয়ার করে অমিত মালব্য লিখেছেন,’ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । উটপাখির মতো তিনি তার মাথা বালিতে পুঁতে রেখেছেন তাই সন্দেশখালীর নারীদের দুর্দশার কথা শুনতে পাচ্ছেন না । যে সমস্ত মহিলারা তার,শাহজাহান শেখ এবং তার অপরাধীদের দল, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের অস্বীকার করছেন । মহিলারা বলছেন যে ২০১১ সাল থেকে পুলিশ তাদের অভিযোগ নেয়নি, যে বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন… যে অফিসারদের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলছেন, তারা নির্যাতিতাদের ভয় দেখাচ্ছেন এবং তাদের ধর্ষণের প্রমাণ দেওয়ার জন্য কাগজপত্র দেখাতে বলছেন!
এছাড়াও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ধর্ষণের শিকার নারীদের মর্যাদা ফিরিয়ে পারেন ? আবার অভিযোগ করছেন যে তারা কি মিথ্যাচার করছেন? সস্তা মন্তব্য ।
অমিত মালব্য আরও লিখেছেন,’সন্দেশখালীতে মহিলাদের কান্না উপেক্ষা করা, অপরাধীদের রক্ষা করা এবং বিশ্বাসঘাতকতা করার মধ্য দিয়ে মমতা ব্যানার্জির অসম্মানজনক আচরণ অব্যাহত রয়েছে । শাহজাহান শেখকে রক্ষা এবং নির্যাতিতাদের ভয় দেখানোর কৌশলের মধ্য দিয়ে তার আসল চেহেরা প্রকাশ্যে এসে গেছে । বাংলা এমন নেতাদের চায় যারা ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেয়, রাজনৈতিক খেলা নয়। এখন এই অভিশাপ থেকে নিজেদের পরিত্রাণের সময় ।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্বাসী এবং জন্মগত মিথ্যাবাদী।তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দাঁড়িয়ে পলাতক শাহজাহান শেখকে রক্ষা করেছিলেন, এইভাবে, তাকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন এবং রাজ্যের সংস্থাগুলির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন । পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তাকে রক্ষা করছে, এটা ওপেন সিক্রেট । বাংলার নারীদের নিয়ে মমতা ব্যানার্জির কোনো মাথাব্যথা নেই, তিনি ভোট না পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষিতা ও নিষ্ঠুরতার শিকার শিকার হওয়া নারীদের কথা শুনতে ইচ্ছুক নন । বাংলাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি নারী ও রাজ্যের জন্যও অভিশাপ।’।