এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ অক্টোবর : রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স-এ দুটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করেছিলেন যে আজ শ্যামপুর থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতকারী নির্বিচারে দুর্গাপূজা প্যান্ডেল ভাঙচুর শুরু করে। তারা শ্যামপুর বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি পূজা প্যান্ডেলের প্রতিমা পুড়িয়ে দেয় এবং অন্যান্য প্যান্ডেলও ভাংচুর করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনকি বিসর্জন ঘাটে পাথর ছোড়ে । তিনি পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে আবেদন জানান, ভাংচুর দমন করুন এবং অনিয়মিত ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বাংলার স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তার ওই দুই ভিডিওর মধ্যে একটি ছিল আগুন জ্বলার এবং অপরটি ছিল রাস্তা অবরোধ করে উন্মত্ত জনতার তান্ডব ।
আগুন জ্বলার একই ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করে বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন, ‘হাওড়ার শ্যামপুরে হিংসার খবরের প্রচার আটকাতে স্থানীয় মিডিয়াকে হুমকি দিচ্ছে মমতা ব্যানার্জি ।’ যদিও হাওড়ার ঘটনায় রাজ্যের কোনো প্রথম সারির মিডিয়া খবর করেনি । বিজেপি নেতা বলেছেন,’পশ্চিমবঙ্গ আবার পুড়ছে ।’
অমিত মালব্য এক্স-এ লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গ পুড়ছে, আবার। একদল অপরাধী গুন্ডা, শ্যামপুর থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরে, শ্যামপুর এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই অসামাজিক ব্যক্তিরা এলাকার দুর্গাপূজা প্যান্ডেল লক্ষ্য করে ব্যাপক ভাংচুর করে। সহিংসতার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, তারা শ্যামপুর বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি পূজা প্যান্ডেলের পবিত্র মূর্তিগুলিতে আগুন দেয় এবং আরও কয়েকটি প্যান্ডেল ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আরও বেড়েছে, কেউ কেউ এমনকি বিসর্জন ঘাটে পাথর নিক্ষেপ করে, আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অপবিত্র করে । হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলার অন্তর্গত শ্যামপুর থানার অন্তর্গত এলাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি সহিংসতার একটি জঘন্য কাজ এবং আমাদের ঐতিহ্য এবং দুর্গা পূজার শান্তিপূর্ণ পালনের উপর আক্রমণ।’ শেষে তিনি অভিযোগ করেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার স্থানীয় মিডিয়াকে বিস্তারিত প্রচারের হুমকি দিচ্ছে।’
তবে শুধু বিজেপিই নয়,ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখাও । রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ‘একটি বিশেষ প্রেস বিবৃতি’ জারি করে বলেছেন,’হাওড়া জেলার শ্যামপুরে যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা চলছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। বহু মানুষ ঘরে ঢুকতে পারছেন না। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই প্রশাসনের উচিত কঠোর ভাবে এর মোকাবিলা করার। অবিলম্বে কঠোরভাবে এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সরকার ও প্রশাসনের উচিত সাধারণ মানুষের জীবনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে সচেষ্ট হওয়া ।এর সঙ্গে স্থানীয় স্তরে সর্বদলীয় এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিনিধিদের নিয়ে অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আমরা রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’।