এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ এপ্রিল : মঙ্গলবার দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসরান উপত্যকার একটি জনাকীর্ণ পর্যটন স্থানে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে কয়েক ডজন হিন্দু পর্যটককে মেরে ফেলেছে । হত্যাকাণ্ডের আগে পুরুষ পর্যটকদের কলমা পড়তে বলা হয় এবং এমনকি প্যান্ট খুলিয়ে খৎনা পরীক্ষা পর্যন্ত করা হয়েছিল বলে বেঁচে যাওয়া মহিলা পর্যটকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন । সরকারি ভাবে এখনো পর্যন্ত হতাহতের পরিসংখ্যান দেওয়া না হলেও ২৬ জন মৃতের নাম প্রকাশ্যে এসেছে । চিকিৎসাধী আহত তিন ডজনেরও বেশি বলে জানা গেছে । এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।
ভারতের রাজনীতিবিদরা পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করছেন । এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করে ট্রোল হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ তিনি এক্স-এ শোক প্রকাশ করে লিখেছেন,’জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার পরিবারের প্রতি আমার হৃদয় বেদনার্ত। নিহতদের মধ্যে একজন, শ্রী বিতান অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছি। যদিও এই শোকের মুহূর্তে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কোনও শব্দ যথেষ্ট নয়, আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে আমার সরকার তার মৃতদেহ কলকাতায় তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অমানবিক সন্ত্রাসী হামলায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের সকল পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।’
তার এই পোস্টটি ট্যাগ করে বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদে আসা উচিত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে কাজ করা ইসলামপন্থী জনতা যাদের জীবন ধ্বংস করেছে, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তার সরকারের উচিত তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তাদের জীবন পুনর্নির্মাণে সহায়তা করা। তার উচিত দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা। যখন আপনার নিজের বাড়িতে আগুন লেগেছে, তখন এই অপ্রয়োজনীয় ভঙ্গিমা বন্ধ করার সময় এসেছে।’
মমতা ব্যানার্জির ফেসবুক পোস্টেও অনেকে তাকে ট্রোল করেছেন৷ আবির রায় নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কাশ্মীরের পেহেলগাঁও তে Tourist places ওপর জঙ্গি হামলা। নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। গাড়ি থেকে নামিয়ে, আই কার্ড চেক করে, হিন্দু দেখে গুলি মেরেছে! জঙ্গিদের কোনো ধর্ম হয় না? হয় না? চলুন মেনে নিলাম! কিন্তু সবকটা জঙ্গি কেনো একটাই মজহব থেকেই হয়? পৃথিবীর কোনো দেশে এরা শান্তিতে থাকতে পারে না, বাকি কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবে না! কি দোষ ছিল এই পর্যটকদের?? দুই দিন আগে মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার সারা দেশ দেখেছে! দুই দিনের মধ্যে নিরীহ হিন্দুদের ওপর নির্দ্বিধায় গুলি বর্ষণ!? বিনা কোনো কারণে?? আমাদের বলতে হবে না, এরাই বার বার প্রমাণ করে দেয় যে এদের মজহব জঙ্গীদেরই জন্ম দেয়!’
সত্যবান পাত্রা লিখেছেন,’আমরা তোমার সহানুভূতি চাই না মমতা বানু, আমরা তোমার স্বভাব খুব ভালো করেই জানি।’ স্নেহাশিস মন্ডল লিখেছেন, ‘মুর্শিদাবাদের কী হবে? হিন্দুদের জন্য বাংলার এত নির্লজ্জ ডাইনি।’ কবিতা মিশ্রের প্রতিক্রিয়া, ‘ম্যাডাম, আপনার মতো লোকদের ধন্যবাদ… যারা এই ধরনের ঘটনাকে উৎসাহিত করে… পশ্চিমবঙ্গকে ক্ষমা করুন।’ শানু দাস লিখেছেন, ‘মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখান।’।