এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০১ অক্টোবর : সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জল ছেড়েছিল ডিভিসি । যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের দামোদর তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছিল । প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয় । যদিও ডিভিসি ও কেন্দ্র সরকার তথ্য প্রমান দিয়ে জানিয়েছিল যে জল ছাড়ার আগে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তারপরেও ক্রমাগত ডিভিসির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকারও । বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার কারন হিসাবে ভারত না জানিয়ে বাঁধের জল ছাড়াকে দায়ি করা হয় । এক্ষেত্রেও কেন্দ্র সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে ত্রিপুরার নদী বাঁধের জল ছাড়ার আগেই বাংলাদেশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল । রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দাবিতে মমতা ব্যানার্জি এবং বাংলাদেশের মন্ত্রীর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন । পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন যে উনি উন্নয়ন বোঝেন না শুধু কাটমানির হিসেবটা বোঝেন ।
আজ নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও বাংলাদেশের উপদেষ্টা, ডাক,টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোহাম্মদ নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিংস পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ । ভিডিওতে মমতা ব্যানার্জিকে বলতে শোনা গেছে,’আমরা চাইনা সেই অর্গানাইজেশন যারা জল ছেড়ে মানুষ মারে৷ ডিভিসি তো তৈরি হয়েছিল বন্যা থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য । মানুষ জলে ডুবিয়ে মারে । ঝাড়খণ্ডের জলে প্রতিবছর বাংলায় বন্যা করা হয় ।’ অন্যদিকে বাংলাদেশের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাহিদ ইসলামের বক্তব্য হল,’কোন সতর্কতা এবং প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে যেভাবে বাদ খুলে দেয়া হয়েছে এটির মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সাথে অসহযোগিতা করছে । আমরা আশা করব ভারত বাংলাদেশের জনগণ বিরোধী নীতি থেকে সরে আসবে ।’
দু’দেশের দুই নেতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দিলীপবাবু লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আর বাংলাদেশের এক সরকারি উপদেষ্টার বক্তব্য শুনলেন? প্রচুর মিল। বাংলাদেশ যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপর দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী।আসলে বিগত ১৩ বছরে কিছুই করেননি। রাজ্যের বিকাশ ও মানুষের উন্নতি কিভাবে করতে হয় তা তিনি বোঝেন না, শুধু কাটমানির হিসেবটা বোঝেন।’।