এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ জুলাই : বৃহস্পতিবার কলকাতার ধর্মতলায় ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সৎ, সংস্কারী এবং সর্বহারা ভাবমূর্তির হওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দেখালেন ভারত জয়ের স্বপ্নও । মমতা বলেন, ‘আমি তৃণমূলকে একটা পরিচ্ছন্ন দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই । আমি চাই ভারতে একটাই দল থাকুক, যে দল আদর্শবাদী, সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারবে। আমি চাই আমার দলের কর্মীরা প্রতিদিন সকালে রাস্তায় হাঁটবে। মা-আম্মিকে দেখলে প্রণাম করবে । আমি দেখতে চাই যে আমাদের কর্মীরা সাইকেলে চেপে ঘুরছেন। বিধায়করা পায়ে হেঁটে ঘুরছেন। সাংসদরা রিকশায় চেপে ঘুরছেন। চায়ের দোকানে বসে আমাদের দলের কর্মীদের আড্ডা মারতে দেখতে চাই। চা খেয়ে টাকাটা অবশ্যই যেন দিয়ে দেবেন । কারন ওঁরাও গরিব । তাই চায়ের দোকানের টাকায় চা খাবেন না ।’
পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রীমোর সতর্কবাণী, মিডিয়ার সামনে সকলে যেন আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন এবং দলের নামে কেউ যেন টাকা না তোলেন । পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এদিন দেশ জয়ের স্বপ্ন দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে প্রতিটি আসনে জিততে হবে। ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়ে জিততে হবে। উত্তরপ্রদেশে জিততে হবে ।’
উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । এদিন শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে তাঁকে ও পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বিকাশরঞ্জনবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সিপিএমের বিকাশবাবু রোজ বলছেন, এটা কাটো ওটা কাটো । আহা রে, সাধুপুরুষ! ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারেন না! আপনার আমলে বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে ওই ফাইলটা বার করব নাকি ? কাদের কাদের জন্মের শংসাপত্র দিয়েছিলেন ? আদৌ কি তাঁরা জন্মের শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য ছিলেন ? দেখবেন ফাইলটা ? না আমি দেখব ?’ এরপর তিনি দাবি করেন, বামফ্রন্ট আমলে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে । সিপিএমে মুখপত্রের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’সিপিএম-এর একটা কাগজ আছে। তার অধিকাংশ সাংবাদিকের বউরা শিক্ষকের চাকরি পেয়েছে কী করে? ছেলেরা পার্টি করবে, আর বউরা চাকরি করবে । এই নীতি নিয়ে সিপিএম চাকরিগুলো দিয়েছিল ।’।