এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৪ আগস্ট : ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করলেন মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী । দমদমে জনসভায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনা করার জন্য রহিম বক্সী প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে “পাতি রাস্তার ছোট নেতা”র মত কদর্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন । শনিবার বিকালে পুরাতন মালদায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে এই প্রকার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতা ।
আব্দুর রহিম বক্সী বলেছেন,’ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন । আমি কিন্তু মন দিয়ে তার বক্তব্য শোনার চেষ্টা করছিলাম । দেশের প্রধানমন্ত্রী, যার উপরে দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে । আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব যার ওপরে আছে । আমাদের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব যার ওপর আছে । দেশের প্রধানমন্ত্রী, যিনি বেকার যুবকদের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার কথা বলবেন । মহিলাদের নিরাপত্তার কথা বলবেন । কিন্তু আমরা হতাশ হলাম বন্ধু । একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী… বলতে খুব খারাপ লাগে…. আমার কথার অনেক সমালোচনা করে…. পাতি রাস্তার ছোট নেতার মত, দেশের প্রধানমন্ত্রী পাতি নেতার মত বক্তব্য রেখে বললেন যে তৃণমূল নাকি লুটেরা ।’
এর আগে ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে “মীরজাফর” বলে আক্রমণ করেছিলেন । শুধু তাইই নয়,তৃণমূল নেতা হুমকি দেন যে রক্ত নিয়ে ফের তারা ভারতকে স্বাধীন করবেন । তিনি বলেছিলেন,’নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিব । আমি ওনার সামনে করজোড়ে প্রণাম করে নিচ্ছি । আপনার সেই বাণী আজ আমরা আর শুনবো না । আপনি রক্ত চেয়েছিলেন, রক্ত দিয়েছেন বিনয়-বাদল- দীনেশ ও লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী । আমরা রক্তের বিনিময়ে দেশ পেয়েছিলাম । সেই দেশের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন । আমরা রক্ত দিব না । আমরা রক্ত নিতে চাই৷ রক্ত নিয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করবো । পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পাবো রক্ত দিয়ে নয়, রক্ত নিয়ে । তাই আজকের রক্ত নেবার দিন এসেছে বন্ধু ।’
পালটা প্রতিক্রিয়ায় ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুরী বলেছিলেন,’ওনার ক্ষমতা থাকলে করে দেখান । আর যদি এটা তিনি করে দেখাতে পারেন তাহলে আমরা কথা দিচ্ছি যে তার ঠ্যাং ভেঙে বর্ডারের ওপান্তে ফেলে দেবো । এমনিতেই তার ছেলে বাংলাদেশে থাকে। একসঙ্গে বাপ-বেটাকে ওখানে পাঠিয়ে দেবো ।’।

