এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৩ আগস্ট : মাস দুয়েক আগে ১.৩৫ কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল । কিন্তু সেই বাঁধের নদীর জলের তোড় সহ্য করার মত যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল না । আজ বুধবার সকালে সেই বাঁধের বিরাট অংশ ধসে গিয়ে হু হু করে ফুলহর নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায় । সংরক্ষিত এলাকায় প্রবল গতিতে নদীর জল ঢুকতে থাকায় ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে আছেন স্থানীয় পরিবারগুলি । তাদের আশঙ্কা যে গত বছরের মতই এবারও বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের । বাঁধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা শাসকদল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ।
জানা গেছে, গত বছর ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরে বাঁধ কেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রায় মাস দুয়েক কার্যত গোটা ভূতনী এলাকা জলের তলায় ছিল । এরপর বন্যার জল কাটতেই মালদা জেলা সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরের কাঁটাবাঁধের জায়গায় ১কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করে । কিন্তু দিন কয়েক আগেই সেই বাঁধে ফাটল দেখা দেয় । বাঁধের নিচে দিয়ে একটু একটু করে ফুলহর নদীর জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনীর সংরক্ষিত এলাকায় । সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলে সেই জল আটকানোর চেষ্টাও করা হয় । কিন্তু আজ ভোরে বাঁধের একটা বড় অংশ ভেঙে প্রবল গতিতে নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায় । এখন শুধু দক্ষিণ চন্ডীপুরের বিভিন্ন নিচু এলাকার বাসিন্দারাই নয়,পাশাপাশি ভূতনীর উত্তর চন্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকার থেকে বাঁধ নির্মাণের টাকা পেলেও বালির বস্তা দেওয়া ছাড়া বাঁধ নির্মাণের তেমন কোনো কাজ হয়নি৷।
Malda Bhutani area flooded after dam bursts within two months of construction