এইদিন ওয়েবডেস্ক,টাঙ্গাইল(বাংলাদেশ), ১৭ জুলাই) : বাবা- মায়ের শত নিষেধ উপেক্ষা করে মুসলিম প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মাধবী রায়চৌধুরী । ধর্ম পরিবর্তনের পরও সুখের মুখ দেখা হয়নি তার । ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রাখেন মাইশা আক্তার । কিন্তু মাত্র দুই মাস না যেতেই সেই ভালোবাসা পরিণত হয় নির্মম নির্যাতনে। একদিন সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন মাইশা আক্তার ওরফে মাধবী ।
কলেজে পড়ার সময় পাশের গ্রামের এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুনীর । পরিবারের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নাম পরিবর্তন করে হন ‘মাইশা আক্তার’।প্রথম দিকে সব কিছু স্বাভাবিক মনে হলেও বিয়ের এক মাস পার না হতেই শুরু হয় নির্যাতন। শারীরিক ও মানসিকভাবে নিপীড়নের শিকার হতে থাকেন মাইশা। এমনকি তার ‘অপবিত্র’ অতীত তুলে নিয়মিত অপমান করা হতো। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকেও কোনো সহানুভূতি পাননি তিনি।
একদিন সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পান, মাইশা রক্তাক্ত ও কান্নাভেজা মুখে বাবার বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন। তার হাতে, পায়ে এবং পিঠে ছিল আঘাতের চিহ্ন। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাধবীর বাবা সাংবাদিকদের জানান, “আমরা প্রথম থেকেই এই সম্পর্কের বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু মেয়ে আমাদের কথা না শুনে চলে যায়। আজ বুঝছে কী ভুল করেছে। ধর্ম বদল করেও সে শান্তি পায়নি, বরং পেয়েছে অপমান আর অত্যাচার।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার কর্মীদের অনেকেই বলছেন, “এই ঘটনা ধর্মান্তরের পেছনে সামাজিক চাপ, প্রেমের ফাঁদ ও নারী নির্যাতনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে।” স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে যথাযথ তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।।

