এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুলতলী(দক্ষিণ ২৪ পরগনা),২২ ফেব্রুয়ারী : পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নিজের ৪ বছরের শিশুসন্তানকে নির্মমভামে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী থানার কুন্দখালি গ্রামে । এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা মাফুজা পিয়াদার নামে অভিযুক্ত গৃহবধুকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পুলিশ মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । এদিকে শিশুকে খুনের ঘটনার পর শোড়গোল পড়তেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে মাফুজার প্রেমিক কুলতলির গাজিরহাটের বাসিন্দা আবুল হোসেন শেখ । পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে । বুধবার নিহত শিশুর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,কুলতলী থানার কুন্দখালি গ্রামের বাসিন্দা তোয়েব আলির সঙ্গে বছর পনেরো আগে বিয়ে হয় মাফুজা পিয়াদারের । তাঁদের একটি ৪ বছরের পুত্রসন্তান ছিল । তোয়েব কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করেন । প্রতিদিন সকালে তিনি কাজে বেড়িয়ে গিয়ে রাতে বাড়ি ঢোকেন । সেই সূযোগে বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে আবুল হোসেন শেখ । ক্রমে আবুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাফুজা । তাঁরা দু’জনে পালিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় মাফুজার শিশুসন্তান । সেই কারনে প্রেমিকের সাথে ষড়যন্ত্র করে মাফুজা নিজের ছেলেকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে খুনের কথা প্রতিবেশীরা কোনো ভাবে জানতে পেরে যায় । তারপর সকলে তোয়েব আলির বাড়িতে গিয়ে শিশুটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে । স্থানীয় লোকজন মাফুজাকে চেপে ধরে । কিন্তু প্রথমে সে খুনের কথা কবুল করেনি । তারপর মহিলাকে মারধর শুরু করতেই সে স্বীকার করে তার প্রেমিকই তার সন্তানকে পিটিয়ে মেরেছে ।
স্থানীয়দের কথায়,শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল । নির্মমভাবে ভেঙে ফেলে হয়েছে তার হাত-পা । পরে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে কুলতলী থানার পুলিশ গিয়ে মৃত শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি শিশুর মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।