এইদিন ওয়েবডেস্ক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া(বাংলাদেশ),১৭ সেপ্টেম্বর : জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করল মাদ্রাসার শিক্ষক । বিগত দু’দিন ধরে শিক্ষকের পাশবিক লালসার শিকার হয়ে ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনদের জানায় নির্যাতিতা কিশোরী । শেষে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোহম্মদ শিহাব উদ্দিন (৩০) নামে ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে পাকড়াও করে পুলিশ । বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনা । শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে । গ্রেফতার হতেই শিক্ষকের সাফাই ‘শয়তান প্ররোচনায়’ সে এই কুকর্ম করে ফেলেছে ।
জানা গেছে,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুরের ‘জামিয়া ইসলামিয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা’য় শিক্ষকতা করত মোহম্মদ শিহাব উদ্দিন । সে আরবি ভাষার শিক্ষক ছিল । সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল নির্যাতিতা কিশোরী । কিশোরীর মা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিহাব উদ্দিন তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল । কিন্তু তার মেয়ে সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি । এরপর সপ্তাহ খানেক আগে তার মেয়েকে মাদ্রাসার অফিস ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শিহাব । গত শুক্রবারও সে একই কাজ করে । তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় । তিনি বলেন,’শিহাব উদ্দিন আমার মেয়েকে জাহান্নামের ভয় এবং জান্নাতের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমরা শিহাব উদ্দিনের বিচার চাই ।’
জানা গেছে,১৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে নাসিরনগর থানায় এনিয়ে একটি এফ আই আর রজু করেন নির্যাতিতার মা । এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে শুনেই চম্পট দেয় ধর্ষক শিক্ষক । শেষে শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে আনে পুলিশ । নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহম্মদ সোহাগ রানা বলেন,’শনিবার দুপুরে মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা তিনি কবুল করেছেন৷ তিনি বলেছেন যে শয়তানের প্ররোচনায় তিনি এই কাজ করে ফেলেছেন ।’
অন্যদিকে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা ছাত্রী ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেছি ।’।