এইদিন ওয়েবডেস্ক,জয়পুরহাট(বাংলাদেশ),২৯ জানুয়ারী : মেয়েদের ফুটবল খেলা বন্ধ করতে মাঠের হামলা চালালো বাংলাদেশের মাদ্রাসার জিহাদিরা ছাত্ররা । বাংলাদেশের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় মেয়েদের ফুটবল খেলা বন্ধ করতে মাঠে দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর করে তারা। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান আক্কেলপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান।
হামলার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক লাইভে প্রচার করেন এক ব্যক্তি।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ‘টি স্টার ক্লাবের’ উদ্যোগে প্রায় দেড় মাস ধরে ওই বিদ্যালয় মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে নারী ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা দেখার জন্য মাটিতে বসে জনপ্রতি ৩০ টাকা ও চেয়ার বসে ৭০ টাকা টিকিট বিক্রি করা হয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে পার্বতীপুর ও জয়পুরহাট ফুটবল দল।
ফাইনালের আগে জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা করে ‘টি স্টার ক্লাবের’ সভাপতি আক্কেলপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন।
সম্প্রতি ওই খেলার মাঠের টিনের বেড়া খুলতে গিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা সুলতানা দর্শক ও আয়োজকদের রোষানলে পড়েন। বুধবার জয়পুরহাট ও রংপুর নারী দলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় প্রচার করা হয়। কিন্তু বিকালে একদল মুসলিম কট্টরপন্থী খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করে । হামলার
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহম্মদ মেজবাউল মণ্ডল নামে একটি আইডি থেকে লাইভে সম্প্রচার করা হয়। ২৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড সময় ধরে লাইভ চালানো হয়েছে। ওই ফেসবুক ব্যবহারকারীও মেয়েদের ফুটবল খেলার বিরোধিতা করে ।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার আগে তিলকপুর রেলস্টেশনের সামনে মাদ্রাসা পড়ুয়ারা জড়ো হয়ে সমাবেশ করছে । সেখানে উত্তেজক বক্তব্য দেওয়া হয় । তারা নারীদের পর্দা করতে বলে ফুটবল ম্যাচ বন্ধ রাখার দাবি জানায় । টি স্টার ক্লাবের সভাপতি সামিউল হাসান ইমন বলেন, ‘ওই মাঠে ছেলেদের খেলা হচ্ছিল। বুধবার বিকালে জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের খেলা ছিল। মঙ্গলবার বিকালে মাদ্রাসার ছাত্রসহ কিছু লোক খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভেঙে দিয়েছে। এতে লক্ষাধিক টাকার টিন নষ্ট হয়েছে।’
আক্কেলপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘ইউএনও খেলার বিষয়ে নিষেধ করেছিলেন। মাদ্রাসার ছাত্ররা গিয়ে সম্ভবত প্যান্ডেল বা যা ছিল তা খুলে ফেলেছে। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।’এ বিষয়ে কথা বলতে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলমকে মোবাইল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।।