এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২৪ অক্টোবর : উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদের একটি মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুমারীত্বের সার্টিফিকেট চাওয়ার পর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রীর বাবা বলেছেন যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা তার মেয়েকে বহিষ্কার করার এবং কুমারীত্বের সার্টিফিকেট না দিলে তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীর পরিবার এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসার ভর্তি সেলের ইনচার্জ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । চম্পট দিয়েছে অধ্যক্ষ রাহনুমার । তার খোঁজেও অভিযান শুরু করেছে পুলিশ । তবে অভিযোগ দায়েরের পরও ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তদন্তে যোগ দেননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, ভুক্তভোগী চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা এবং মোরাদাবাদ শহরের পাকবারা এলাকার জামিয়া আসানুল বানাত গার্লস কলেজে (মাদ্রাসা) পড়াশোনা করছে । ১৪ অক্টোবর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। ছাত্রীর পরিবার পুলিশকে জানায় যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়ের চরিত্রের অবমাননা করেছে। ক্ষুব্ধ বাবা দাবি করেছেন যে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
পরিবার যখন ছাত্রীকে অষ্টম শ্রেণীতে উন্নীত করার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়, তখন কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়ের কুমারীত্বের সনদ জমা দিতে বলে।ক্ষুব্ধ পরিবার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে এবং এরপর শিশুটির বাবা, যিনি চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, “স্কুল আমার মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছে। এমনকি তারা টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়ার নামে ৫০০ টাকাও নিয়েছে।
পাকবারা থানা এলাকার লোধিপুরে একটি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশ সুপার রণ বিজয় সিং । তিনি বলেন,’চণ্ডীগড়ের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার মেয়ের চরিত্র সম্পর্কে আপত্তিকর সার্টিফিকেট চেয়েছে৷ আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের সময় যে কোনও তথ্য বেরিয়ে আসার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’।

