এইদিন ওয়েবডেস্ক, মৌলভীবাজার (বাংলাদেশ), ০৩ সেপ্টেম্বর : নেমপ্লেটে লেখা ডঃ ওয়াদুদ,মেডিসিন, বক্ষব্যাধি, চর্ম ও যৌন, মা ও শিশু, সার্জারি এবং ডেলিভারিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক । রোগীর সংখ্যাও নিছক কম নয় । কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রোগীদের দলেই ছিলেন জনৈক এক সাংবাদিক । চিকিৎসকের সঙ্গে নিজের শারিরীক সমস্যার বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময়েই সাংবাদিকের সন্দেহ হয় । আর চেপে ধরতেই ওই ভন্ড চিকিৎসক নিজের আসল বিদ্যার কথা কবুল করেন । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রবিরবাজারের টিলাগাঁও রোড এলাকায় । সাংবাদিকের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওয়াদুদকে চেম্বার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
রবিরবাজারের টিলাগাঁও রোডে চেম্বার রয়েছে বছর পঞ্চান্নের ওয়াদুদের । দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে নিজের চেম্বারে নিয়মিত রোগীও দেখে যাচ্ছিলেন ওয়াদুদ । তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ ও কথাবার্তা ছিল চিকিৎসকদের মতই । তাই এতদিন কেউ টের পায়নি ওই প্রতারকের আসল বিদ্যার বিষয়ে । কিন্তু স্থানীয় এক সাংবাদিক অসুস্থতার কারনে ওয়াদুদের চেম্বারে শারিরীক পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন । ওয়াদুদের গতিপ্রকৃতি দেখে সাংবাদিকের সন্দেহ হয় । কথাবার্তা বলার সময় অবশ্য ওয়াদুদ স্বীকার করেন এসএসসি (Secondary School Certificate)
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে তিনি আর লেখাপড়া করেননি । এরপর তিনি ‘চিকিৎসার লাইনে’ চলে আসেন । তবে ওয়াদুদ নিজের সাফাইয়ে জানান, পড়াশোনা করে নয়, শুধুমাত্র রোগী দেখতে দেখতে অভিজ্ঞতায় ডাক্তার হয়েছেন তিনি । দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর ।
জানা গেছে,ভন্ড চিকিৎসকের মুখে সব কিছু শোনার পর চুপচাপ তাঁর চেম্বার থেকে বেড়িয়ে আসেন ওই সাংবাদিক । তারপর তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান । এরপরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর । কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহম্মদ মেহেদি হাসান বলেন, ‘এতদিন প্রতারণা করে আসছিলেন ওয়াদুদ। তার কোনো যোগ্যতাই নেই । এসএসসি পাশও করেননি। অথচ বড় বড় ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগী দেখছিলেন । এজন্য তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । সেই সঙ্গে চেম্বারটি বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।’।