এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুনা(মধ্যপ্রদেশ),১৭ মে : কৃষ্ণসার হরিণ শিকার ও তিন পুলিশকর্মীকে হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করল মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলা পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫.২০ নাগাদ ধর্নাভদা ভরৌলির (Dharnavda-Bharauli) মধ্যে এনকাউন্টারে নিহত হয় চোরা শিকারি ছোটু পাঠান ওরফে জহির নামে ওই দুষ্কৃতী । অভিযুক্ত রাজস্থানে পালানোর চেষ্টা করছিল । এই এনকাউন্টারে একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন । অভিযুক্তের কাছ থেকে পিস্তল ও বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
উল্লেখ্য,গত শনিবার ভোর ৩টার দিকে গুনার হারুনে কয়েকজন চোরা শিকারী পাঁচটি কালো হরিণ ও কয়েকটি ময়ূর শিকার করেছিল । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ৷ তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে অভিযুক্তরা । পালটা পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ । দুষ্কৃতীদের গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাব-ইন্সপেক্টর রাজকুমার জাটভ, হেড কনস্টেবল সন্ত কুমার মীনা এবং কনস্টেবল নীরজ ভার্গবের । দুজন পুলিশকর্মী আহত হন । অন্যদিকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় চোরা শিকারি নওশাদ খানের । শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত এনকাউন্টারে মারা যায় শাহজাদ খান নামে আরও এক দুষ্কৃতী । এছাড়া এনকাউন্টারে আহত জিয়া খান ও শানু খান নামে অপর দুই দুষ্কৃতী পলাতক । তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, মঙ্গলবার ভোরে গুনা জেলার ধর্মবাদ ভাদোলি সড়কে ছোটু ওরফে জহিরের উপস্থিতির খবর পেয়ে তাকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ । পুলিশ ছোটুকে আত্মসমর্পণ করতে বললেও সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । এতে একজন পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন । পুলিশের গাড়িতেও গুলি করা হয়। পাল্টা গুলিতে নিহত হয় অপরাধী ছোটু । এখনো পলাতক রয়েছে আরও দুইজন। তাদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করা উচিত ।’ জানা গেছে, এনকাউন্টারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন ।।