দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৭ ডিসেম্বর : প্রেমিকা কথা দিয়েছিল আজ রবিবার বিয়ে করবে । এক আত্মীয়ের বাড়িতে করা হবে বিয়ের আয়োজন । কথামত বরের বেশে, বরযাত্রীদের সাথে নিয়ে বিয়ে করতে চলে আসে প্রেমিক । কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও প্রেমিকার দেখা না পেয়ে তিনি বারবার ফোন করেন । প্রথম দিকে প্রেমিকা ‘এক্ষুণি লোক যাচ্ছে’ বললেও পরে সে ফোনের সুইচ অফ করে দেয় । প্রেমিকের বুঝতে বিলম্ব হয়না যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন । শেষে তিনি বরের বেশেই পুলিশের দ্বারস্থ হন । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার বালিয়াডাঙ্গা ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা নয়ন ঘোষ নামে ওই যুবকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিশ ।
রাজস্থানের জয়পুরে সোনার গহনা তৈরির কাজ করেন নয়ন ঘোষ । তিনি জানান,সহকর্মী সোমনাথ ঘোষের মাধ্যমে বর্ধমান শহরের দত্তপাড়া এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় । সোমনাথের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে । এদিকে তরুনীর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বর্ধমান রেলস্টেশনে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দেখা করেছিলেন তার সঙ্গে । ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
নয়নের কথায়,’তরুনী আমাকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল । তবে উভয়ের সুবিধার জন্য কাটোয়া শহরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হবে বলে সে আমায় জানায় । সেই মত আজ সকালে আমরা কাটোয়ায় চলে আসি । কিন্তু পরে বুঝতে পারি আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি ।’
জানা গেছে,এদিন সকালে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় বালিয়াডাঙ্গা ফরিদপুরে নয়ন ঘোষের বাড়িতে । অনুষ্ঠান শেষে প্রায় ১৫ জন বরযাত্রীকে নিয়ে নৌকায় ভাগিরথী পেড়িয়ে কাটোয়ার গোয়ালপাড়া ঘাটে চলে আসেন তিনি । কিন্তু কয়েক ঘন্টা নদীর ঘাটে অপেক্ষা করেও প্রেমিকা না আসায় তিনি বারবার ফোন করেন । নয়ন ঘোষ বলেন,’যতবারই ফোন করি ততবারই আমায় বলে যে ‘এক্ষুণি লোক যাচ্ছে’ । পরে তার ফোনের সুইচ অফ হয়ে যায় ।’
জানা গেছে,প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে যুবক গোয়ালপাড়া ঘাট থেকে টোটো ধরে সোজা কাটোয়া থানায় চলে এসে বর্ধমানের ওই তরুনীর বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’।