এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৯ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে মুসলিম যুবকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে চরম বিপাকে পড়ে গেছেন কলকাতার এক তরুনী । ওই ফাঁদ থেকে বেড়িয়ে আসতে অমৃতা দত্ত চৌধুরী (Amrita Datta Chaudhuri) নামে বছর তেইশের ওই তরুনী এখন ফেসবুকের দ্বারস্থ হয়েছেন । জানা গেছে, তিনি চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় নোটারি পাবলিকে গিয়ে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে আবদুল ওয়াকিল (Abdul Wakil) নামে বছর বাইশের এক যুবককে বিয়ে করেন । বাংলাদেশে নোটারি পাবলিকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,বাংলাদেশের নিজপাড়া(Nizpara), নলিতবাড়ি (Nalitbari), শেরপুর(Sherpur)-এর বাসিন্দা মহম্মদ আবু সালেহর ছেলে আবদুল ওয়াকিল । অন্যদিকে ওই তরুনীর বাড়ি কলকাতার নিমতা থানার অন্তর্গত বিরাটিতে । তরুনী নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মেহজাবেন চৌধুরী (Mehazaben Chowdhury) ।
বৃহস্পতিবার অমৃতা দত্ত চৌধুরী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লিখেছেন,’আমি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকায় অধ্যয়নরত একজন বিদেশী ছাত্র। চলতি বছরের শুরুর দিকে হালিমা খাতুন নার্সিং ইনস্টিটিউটের আব্দুল ওয়াকিল আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কক্সবাজারে নিয়ে যায় এবং হোটেল গ্যালাক্সিতে অনেক দিন ধরে অত্যাচার করে… সে আমার মোবাইল ও টাকা চুরি করার পাশাপাশি ভিডিও রেকর্ড করে। তারপর সে আমার বাবা-মাকে ফোন করে পুলিশকে জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপর সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং আমার ভিডিও তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে। সবাই সত্য জানতে পেরে আমাকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে সহযোগিতা করে অন্যায় চালিয়ে যায়। তারপর সে আমার ভিডিও রেকর্ড করে আমার বাবা-মাকে পাঠায়। এবং তারা আমাকে কিছু দিন পর ফেরত পাঠায়। তারপর সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং ঢাকা থেকে ৮-১০ বার আমাকে ময়মনসিংহের নিরালা রেস্ট হাউস হোটেলে ডেকে নিয়ে যায়….আমাকে একা যাতায়াত করতে হয়…সে প্রতিবার আমার টাকা ও আমার ব্যাংক কার্ড চুরি করে নেয়…আমি একজন ভারতীয় মেডিকেল স্টুডেন্ট…আমি কেন বাংলাদেশিদের এমন আচরণের সম্মুখীন হচ্ছি? তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? তার বর্তমান অবস্থান অজানা… তার সম্পর্কে আপনার কোন তথ্য থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে ইনবক্স করুন। এটি তার যোগাযোগের তথ্য 01729515411 or 01718013491 দয়া করে তাকে ভিডিওগুলি মুছে দিতে এবং আমাকে হয়রানি বন্ধ করতে বলুন। এবং তাকে বলুন আমাকে তালাক দিতে এবং ১ লাখ টাকা মহর দিতে কারণ এটি তার জঘন্য কাজের জন্য তাকে অবশ্যই ন্যূনতম শাস্তি পেতে হবে ।’
ওই পোস্টের সঙ্গে বাংলাদেশের নোটারি পাবলিকের হলফনামার একটি ছবির পাশাপাশি বিয়ের পর হিজাব পরিহিত অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কয়েকটি গ্রুপ ফটোও পোস্ট করেছেন ওই তরুণী । কিন্তু ছবিগুলিতে অমৃতা দত্ত চৌধুরী বা মেহজাবেন চৌধুরীকে যথেষ্ট হাসিখুশিই দেখাচ্ছে । স্বভাবতই ‘অপহরণ’-এর পর জোর করে ধর্মপরিবর্তন করে বিয়ে করার যে অভিযোগ তুলছেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে । তবে সুত্রের খবর,বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই অমৃতা বা মেহজাবেনকে শারিরীক নিগ্রহ করতে শুরু করে দিয়েছে তাঁর স্বামী আবদুল ওয়াকিল । যে কারনে এখন কোনো রকমে আবদুলের ফাঁদ থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছেন তিনি । তরুনীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বহু মানুষ তাঁকে দায়ি করলেও কেউ কেউ ওই তরুনীকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দিয়েছেন ।।