এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৫ জুলাই : বছর আঠারোর হিন্দু তরুনীকে লাভ জিহাদে ফাঁসিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করার পর নেপালের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলার হাতা থানা এলাকার বাসিন্দা আমন খান নামে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । আর এই ঘটনায় আমন খানের বাবা আহমেদ খান এবং মা সহ গোটা পরিবার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ নির্যাতিত তরুনীর । শুধু তাইই নয়, এই ঘৃণ্য ঘটনার পিছনে আশুতোষ ভার্মা এবং শিবম মিশ্র নামে দুই হিন্দু যুবক জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ । গত ৮ জুলাই মূল অভিযুক্ত আমন খানকে গ্রেপ্তার করে কুশিনগর জেলার হাতা থানার পুলিশ । আমনের বন্ধু আশুতোষ ও শিবমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৫০৬,৩৭৬(ধর্ষণ), ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) এবং উত্তরপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্ট-এর ৩/৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতা থানার আধিকারিক নির্ভয় সিং । এখন অভিযুক্তদের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর দাবি উঠছে এলাকায় ।
নেপালের নিষিদ্ধ পল্লি থেকে পুলিশের সহায়তায় ফিরে আসার পর তরুনী মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে তার উপর ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন । সেই ভিডিও শেয়ার করে রিতু রাঠাউর(Ritu Rathaur) নামে এক ইউজার্স লিখেছেন,’উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর থেকে লাভ জিহাদের মর্মান্তিক ঘটনা। এখানে একজন মুসলিম যুবক আমন খান প্রথমে একজন হিন্দু মেয়েকে হিন্দু পুরুষ বলে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। যখন মেয়েটি তার মুসলিম পরিচয় জানতে পেরেছিল তখন সে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়, তারপর থেকে আমন খান মেয়েটির পিছুতে লাগে এবং হুমকি দিতে শুরু করে । এরপর তার বন্ধুদের সাথে মিলে এমন জঘন্য কাজ করে যা শুনলে আপনার হৃদয় কেঁপে উঠবে । একটি হৃদয় বিদারক ভিডিওতে নাবালিকা মেয়েটি তার অগ্নিপরীক্ষা বর্ণনা করেছে যে কীভাবে তাকে বারবার গণধর্ষণ করা হয়েছিল, ইসলাম গ্রহণ করতে এবং গরুর মাংস খেতে বাধ্য করা হয়েছিল । যতবার রাজি না হয় তাকে ধর্ষণ করা হয়। মুসলিম পুরুষ আমন খানের বাবা, মা এবং পুরো পরিবার হিন্দু মেয়ের যৌন নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিল। তারপর তাকে নেপালের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছিল যেখান থেকে সে কোনওরকমে পালিয়ে আসে । নতুন ভারতে হিন্দু কন্যাদের সাথে কী ঘটছে তা দেখে মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যায় ।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে ওই কিশোরীকে বলতে শোনা গেছে,’আমন খান আমাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য জোর করত । আমাকে জোর করে গরুর মাংস পর্যন্ত খাওয়ায় । সে আমাকে কয়েকবার ধর্ষণও করেছে । আমনের ভয়ে তার বাড়ির সামনে দিয়ে আমি যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিলাম । কোচিং সেন্টারেও যেতাম না । তবুও সে আমার পিছু নিত । ঘটনার দিন পয়লা জুলাই যখন আমি দোকান থেকে চিপস্ কিনে ফিরছিল তখন চারজন যুবক এসে আমার বাবা দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমাকে একটা গাড়িতে তুলে নিয়ে । তারপর আমন খান এবং ওই ৪ জন যুবক আমাকে গান্ধী স্মারক ইন্টার কলেজের কাছে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণ করে । তারা চেতনা নাশক কিছু শুঁকিয়ে দিলে আমি অচেতন হয়ে পড়ি । যখন আমার জ্ঞান ফেরে তখন দেখতে পাই আমি নেপালের নিষিদ্ধ পল্লিতে রয়েছি । নিষিদ্ধ পল্লির দায়িত্বে থাকা মহিলাই আমাকে জানায় যে আমন আমাকে বিক্রি করে দিয়েছে । তরুনীর অভিযোগ, আমনের বাবা আহমেদ খানের পরামর্শেই আমাকে নেপালের নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করা হয়েছিল ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,তরুনী নিখোঁজ হওয়ার পর গত পয়লা জুলাই তরুনীর মা নীলম মিশ্র হাতা থানায় একটি এফআইআর রজু করেন । তখন থেকেই মেয়েটির সন্ধান চালাচ্ছিল পুলিশ । এদিকে নেপালের নিষিদ্ধ পল্লিতে ওই তরুনীকে দেহ ব্যবসায় কাজে লাগানো হয় । পরপর দু’দিন ধর্ষিতা হওয়ার পর সেখানে অন্য এক তরুনীর ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানায় । এরপর তরুনীর বাবা দিলীপ মিশ্রর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে হাতা থানার পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্রে মেয়েটির অবস্থান জানতে পারে । শেষে পুলিশ তরুণীকে নেপাল থেকে উদ্ধার করে আনে । বাড়ি ফেরার পর থেকে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই তরুনী ।।