এইদিন ওয়েবডেস্ক,মধ্যপ্রদেশ,৩১ ডিসেম্বর : ফের লাভ জিহাদের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতে ৷ এবারে ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলা । মহম্মদ মহসিন মুলতানি নামে এক যুবক নিজেকে প্রদীপ সোলাঙ্কির পরিচয় দিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক হিন্দু মেয়েকে ফাঁদে ফেলে । এরপর তাকে ধর্ষণ করে তার অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে এবং এর মাধ্যমে তরুনীকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে । চতুর মহম্মদ মহসিন মুলতানি নিজের ঠিকানা পর্যন্ত জানায়নি নির্যাতিতাকে ৷ প্রতারিত তরুনীর একজন বন্ধুর সহযোগিতায় ওই লাভ জিহাদিকে চিহ্নিত করে । এর পর ২৮ ডিসেম্বর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয় ।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে খারগোন জেলার কোতোয়ালি নগর এলাকায়। গত শনিবার এখানে একটি বেকারিতে কাজ করা ২৩ বছর বয়সী হিন্দু তরুনী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নির্যাতিতা জানান, প্রায় ৩ বছর আগে তার বন্ধু সুনিয়া জামরে(Sunia Jamre) তাকে ধর জেলার এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় করে দেয় । সুনিয়া জামরে ছেলেটিকে হিন্দু বলে বর্ণনা করেছিল । ওই যুবক নিজেকে প্রদীপ সোলাঙ্কি বলে পরিচয় দেয়।
নির্যাতিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি একটি দরগায় প্রার্থনা করতে গেলে ওই যুবকের সঙ্গে তার দেখা হয় । তরুনী জানান যে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিল না। একারনে তার বন্ধু সুনিয়া জামরে তাকে দরগায় নিয়ে যেতেন। কথোপকথনের কয়েকদিনের মধ্যেই নির্যাতিতা ও প্রদীপ একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে। প্রদীপ ছদ্মবেশী মহসিন নির্যাতিতার ভাড়া ঘরে যেতে থাকে। সুযোগ পেয়ে সে তরুনীকে ধর্ষণ করে ভিডিওও করে। তারপর সেই আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে । শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার কাছ থেকে চাঁদাবাজিও শুরু করে মহসিন । অনেক পরে নির্যাতিতা জানতে পেরেছে যে প্রদীপ সোলাঙ্কি আসলে একজন মুসলিম এবং তার নাম মহম্মদ মহসিন মুলতানি। এ কারণে নির্যাতিতা তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে। দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টায় মহসিন রেগে যায় বলেও জানান নির্যাতিতা তরুনী ।
তরুনীর অভিযোগ,এই সম্পর্ক থেকে সরে যেতে বাধা দেয় মহসিন এবং তাকে ধর্মপরিবর্তন করে নিকাহের জন্য চাপ দিতে থাকে। অস্বীকার করায় নির্যাতিতার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিত সে । কোনো উপায় না দেখে নির্যাতিতা মহসিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার, তিনি হিন্দু সংগঠনের সমস্ত সদস্যদের সাথে কোতোয়ালি নগর থানায় পৌঁছান। নির্যাতিতার সঙ্গে উপস্থিত হিন্দু সংগঠনের লোকজন ৷ তারা মহসিনকে লাভ জিহাদি আখ্যা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান। পুলিশ এসসি/এসটি আইন এবং মধ্যপ্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন ২০২১ সহ অন্যান্য ধারায় মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর মহসিন পলাতক, পুলিশ তাকে খুঁজছে। একই মামলায় মহসিনের পাশাপাশি নির্যাতিতার বন্ধু সুনিয়া জামরেও নাম রয়েছে।।