এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভুবনেশ্বর,১০ নভেম্বর : ওড়িশায় লাভ জিহাদের একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে । অর্গানাজার উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনলাইন গেম খেলার সময় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুনীর । যুবক একজন মুসলিম । কিন্তু সে নিজের আসল ধর্ম পরিচয় গোপন করে হিন্দু বলে পরিচয় দেয় এবং তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে । পরে যুবক ওড়িশায় যায় এবং তরুনীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় । কিন্তু পরে তার আসল পরিচয় জানাজানি হলে সে তরুনীকে নিকাহ করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেয়। প্রত্যাখ্যান করায়, যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দেয়, তাকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং তার পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। অবশেষে, মনসুর নামে ওই লাভ জিহাদিকে ওডিশা পুলিশ রীতিমতো ফাঁদ পেতে ধরে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওডিশার জগৎসিংপুর জেলার এক হিন্দু যুবতী ২০২২ সালে ফ্রি ফায়ার অনলাইন গেম খেলার সময় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় । যুবক সমীর নামে নিজের পরিচয় দেয় । সমীর দাবি করে যে তার বাড়ি বিহারে এবং সে কর্মসূত্রে কাশ্মীরে থাকে । ধীরে ধীরে গেম খেলতে খেলতে ফোন নম্বর বিনিময় হয় এবং নিয়মিত কথা বলতে শুরু করে । প্রায় দুই বছর ফোনালাপের পর সমীর ওড়িশায় যায়।। মেয়েটি তার পরিবারের সাথে মিথ্যা বলেছিল এবং একটি হোটেলে তার সাথে দেখা করতে পুরীতে গিয়েছিল। কিন্তু পুরীতে গিয়ে তরুনী আবিষ্কার করেছিলেন যে সমীর হিন্দু নয় সে মুসলিম।এবং তার আসল নাম মনসুর । এতে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। মনসুর জোর করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও রেকর্ড করে রাখে বলে অভিযোগ । অন্য কোন উপায় না থাকায়, যুবতী এবং তার পরিবার ভুবনেশ্বরের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে যান। মনসুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে।
জগৎসিংপুর জেলার কুজং থানা এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা শুক্রবার জানান, ২০২২ সালে অনলাইন গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে গিয়ে তিনি এক যুবকের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন।প্রাথমিকভাবে, সে আমার কাছে নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন রাখতে তার পুরো নাম বলেনি । তার নাম সমীর মনসুর । কিন্তু আমার কাছে সে নিজের নাম শুধু সমীর বলে । যার ফলে আমি বিশ্বাস করি যে সে একজন হিন্দু ছেলে। পরে জানতে পারি সে মুসলমান। সে আমাকে এবং আমার পরিবারকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে এবং আমি বিচার চাই ।’ নির্যাতিতার আইনজীবী সংঘমিত্রা রাজগুরু বলেছেন, ‘ভয় পেয়ে মেয়েটি সাহায্য চেয়েছিল এবং আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল। যখন সে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করেছিল, তখন তাকে যুবক ব্ল্যাকমেল করেছিল,সে এমনকি তাকে ভয়ানক পরিণতির হুমকিও দিয়েছিল ।’
প্রতিবেদনে জানা গেছে,নির্যাতিতা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশের একটা বিশেষ দল। মনসুরকে ধরার পরিকল্পনা করে। বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে, মেয়েটি মনসুরকে ভুবনেশ্বরে আসতে রাজি করায়, যেখানে পুলিশ তাকে পথে আটক করে। তাকে গ্রেফতার করা হয়, তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত শুক্রবার নির্যাতিতার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে । ডিসিপি পিনাক মিশ্র বলেছেন, পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে । সাম্প্রতিক সময়ে ওডিশায় এনিয়ে তৃতীয় লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ।।