এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইন্দোর,০১ অক্টোবর : দেশের তথাকথিত সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলি বা ব্যক্তিরা ‘লাভ জিহাদ’কে হিন্দুত্ববাদীদের অপপ্রচার বলে যতই প্রমান করার চেষ্টা করুক না কেন, বাস্তবে যে দেশের মধ্যে এর অস্তিত্ব প্রকট তা ফের একবার প্রমান পাওয়া গেল । এবার নিজ সম্প্রদায়ের ছেলেদের বিয়ে করার জন্য হিন্দু মেয়েদের প্রলোভন দেখানোর অভিযোগে এক মুসলিম তরুনীকে গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পুলিশ ।
সংবাদ মাধ্যম অমর উজালার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ধৃত মহিলা নিজেকে রফিকুনিশা খান, সানা খান ও পায়েল খান বলে পরিচয় দেয় । পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজার ওই মুসলিম তরুনী কিছুদিন ধরেই ইন্দোরে আইনের ছাত্রীদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল । সে হিন্দু মেয়েদেরকে মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভনও দেখাত বলে অভিযোগ । লাভ জিহাদ ও ব্ল্যাকমেলিং এর মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে খাজরানা থানা পুলিশ । ধৃতের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন এবং ভয় দেখানোর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,তালোদ সোনকাচ (দেওয়াস) এর বাসিন্দা ইন্দোরের একজন আইনের ছাত্রী সর্ব প্রথম এই ঘৃণ্য চক্রান্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে । ওই ছাত্রী খাজরানা থানায় একটি লিখিত অভিযোগে জানান যে অভিযুক্ত রফিকুনিশা খান তাকে এবং তার বন্ধুদের মুসলিম হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সে প্রলোভন দেখায় যে মুসলিম শ্রেণীর ধনী পরিবারের ছেলেদের সাথে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করবে । এতে তারা প্রচুর অর্থের মালিক হবে এবং অনাগত সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে ।
জানা গেছে,ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে মূলত রেওয়ার বাসিন্দা রফিকুনিশা খান ওরফে সানা খান ওরফে পায়েল খান । সে ইন্দোরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করে । সেলিম খান নামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই মহিলা থাকে ইন্দোরের সত্যম বিহার কলোনিতে । লাভ জিহাদ চালানোর জন্য প্রথমে সে আইনের ছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে । এরপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলে লাভ জিহাদের নির্দিষ্ট ছকে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে । এভাবে সে ৪০ জনেরও অধিক হিন্দু তরুনীকে ফাঁদে ফেলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল । পুলিশ মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে তাকে গ্রেফতার করে । কিন্তু ধৃত মুসলিম তরুনী পুলিশের জেরায় বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ । এখন এই চক্রের বাকিদের নাগাল পেতে পুলিশ ধৃতের মোবাইল কলের বিবরণ খতিয়ে দেখছে । কোনো সন্ত্রাসী বা ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠনের সঙ্গে রফিকুনিশা খানের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে অমর উজালা ।