এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,৩০ নভেম্বর : ফের লাভ জিহাদে ফেঁসে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয়েছে আসামের এক হিন্দু তরুনীকে । ইংরাজি নিউজ পোর্টাল অর্গানাইজার জানিয়েছে, নিহত পপি হাজারিকা (২৬ বছর) আসামের মাজুলি দ্বীপ জেলার বাসিন্দা । ২৬শে নভেম্বর মাজুলিতে তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বারপেটা রোড শহরের ফুটপাথে তার মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশি তদন্তে লাভ জিহাদের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং কীভাবে নির্যাতিতা লাভ জিহাদি সানিদুল ইসলামের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তা সামনে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বারপেটা জেলার মান্দিয়া এলাকার সানিদুল ইসলাম প্রীতম ডেকা নামে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভুয়া হিন্দু পরিচয় দিয়ে পপি হাজারিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধুত্ব কিছুদিন পর প্রেমে পরিণত হয়। নিজেকে প্রীতম ডেকা বলে পরিচয় দিয়ে মাজুলীতে নিহত তরুনীর বাড়িতে যায় সানিদুল ইসলাম। নিহতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে তাদের সম্পর্কের কথা তাদের জানা ছিল এবং তাদের কোনো আপত্তি ছিল না। প্রতারক সানিদুল ভিকটিমকে ভালো জীবনযাপনের সন্ধানে তরুনীকে গুয়াহাটিতে আসতে রাজি করিয়েছিল এবং বলেছিল যে সেও রাজধানীতে ভাগ্য বদলের করছে । তরুনী গুয়াহাটিতে আসতে রাজি হয়েছিল এবং অবশেষে সে তার পরিবারের সম্মতি ছাড়াই গুয়াহাটিতে পৌঁছেছিল। সূত্র জানায়, লাভ জিহাদি সানিদুল ইসলাম তরুনীকে গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরে বারপেটা রোড শহরে নিয়ে যায়। প্রথমে সানিদুল দরিদ্র তরুনীকে মাদক সেবনে বাধ্য করে। তার বান্ধবী জানায় যে তারা বরপেটা রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে একসাথে থাকত যেখানে তাকে সানিদুল যৌন নির্যাতন করে এবং মাদক সেবন করতে বাধ্য করে। প্রায় দু’বছর তারা ছিল ওই বাড়িতে । সূত্র জানায়, এমনকি লাভ জিহাদি সানিদুল ইসলাম তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ । গত ২৬ নভেম্বর তরুনী তার ভাড়া বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং ভাড়া বাড়ির মালিক তাকে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় ফুটপাথে ফেলে দেয়। পরে সে মারা যায় এবং স্থানীয়রা তাকে দেখতে পায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে । ভাড়া বাড়ির মালিক উর্মিলা দেবী, তার ছেলে বিকি, আন্না শীল ও বিশালকে গ্রেফতার করেছে বারপেটা পুলিশ। তবে প্রধান আসামি সানিদুল ইসলাম এখনো পলাতক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি আবারো ফাঁস করে দিল লাভ জিহাদের সামাজিক কুফল। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কত সংখ্যক হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের শিকার হয়েছে এবং অনেকে প্রাণ হারিয়েছে তা এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী সানিদুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতাকে মাদক নিতে বাধ্য করা হয়েছিল কিনা বা তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল কিনা তা আসাম পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ।।