এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোল্লাম(কেরালা),০৪ ফেব্রুয়ারী : কেরালায় ফের এক তরুনীকে ‘লাভ জেহাদ’-এর ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠল । অভিযোগ,নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে ওই হিন্দু তরুনীকে প্রথমে প্রেমের জালে ফাঁসায় এক মুসলিম যুবক । তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে সে মগজ ধোলাই করে ও একাধিকবার ধর্ষণ করে । মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভাবস্থায় অনাগত সন্তানকে হত্যা করে বলে অভিযোগ । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোল্লাম জেলার(Kollam district) পারিপলি থানার চাথানূর(Chathanoor) এলাকায় । নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে কেরালা পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম মহম্মদ নাজিম (২৭) ।
একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,মহম্মদ নাজিম বিবাহিত । তাঁর এক সন্তান রয়েছে । কিন্তু সে ওই তরুনীর সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য নিজেকে হিন্দু ও অবিবাহিত বলে পরিচয় দেয় । ধীরে ধীরে বন্ধু গড়ে ওঠে । মেয়েটিকে সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাস খানেক আগে তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যায় । কাছাকাছি একটি মন্দিরে গিয়ে মালা বদল করে বিয়ে করে । তারপর চাথানূর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে চাভারায়(Chavara) একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে ।
অভিিযোগ,তরুনী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তখন ঝামেলা শুরু হয় । মেয়েটির উপর তখন থেকে নিয়মিত শারিরীক নিগ্রহ শুরু করে মহম্মদ নাজিম । সম্প্রতি সে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে প্রচন্ডভাবে মারধর করার পর তাঁর পেটে পেটে লাথি মারে । ফলে ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হয় তরুনীর । তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গর্ভপাত হয়ে যায় । পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্যারিপলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Paripally Medical College Hospital) ভর্তি করে । বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা চলছে মেয়েটির । তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
এদিকে ঘটনার পর মেয়েটির বাবা-মা নাজিমের বিরুদ্ধে পারিপলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে নাজিমকে চাথানূর গ্রেফতার করে পুলিশ । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা পর তাকে আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ।।