এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ এপ্রিল : বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জির পোস্ট করা একটা ভিডিও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ পোস্ট করা ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি আসলে ‘বউকে পেটানোর’ দৃশ্য । বিজেপি নেত্রী লিখেছেন,’এই বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি পেশায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক এবং (আসিফা ট্রাস্ট) একটি কি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর অধ্যাপক । এই ব্যক্তি প্রকাশ্যে তার প্রথম স্ত্রী কে নির্যাতন করছেন। এবং একটি দ্বিতীয় বিবাহ ও করেছেন সমাজের কাছে এই ব্যক্তির নারীদের প্রতি নির্যাতনের কঠোর নিন্দা জানাই। এদের থেকে সামাজিক দুরত্ব ও সচেতনতা বজায় রাখুন।’
ভিডিওতে লুঙ্গি গেঞ্জি পরা একজন পুরুষ ও শালোয়ার কামিজ পরা একজন মহিলাকে দেখা গেছে । পুরুষটি একটা ঝাঁটা কুড়িয়ে নেয় । সে লুঙ্গিটা ঠিকমত কোমড়ে এঁটে নিয়ে মহিলাকে সে বলে, “এত যুক্তি কিসের ? এত তর্ক কিসের ?” এরপর সে ঝাঁটার হাতলটা মহিলার বাম দিকের পায়ে সপাটে মারে । মহিলার পিছনেই ছিল হলুদ গেঞ্জি পরা এক কিশোর । সে মহিলাকে ধরতে গিয়েও ভয়ে পিছিয়ে আসে । এদিকে পুরুষটি একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে করতে মহিলাকে মুহুর্মুহু ঝাঁটাপেটা করে । মহিলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে উলটে পড়েন। ভিডিওটি ঘরে থাকা তৃতীয় ব্যক্তি রেকর্ড করেছে ।
একজন ব্যবহারকারী (@kinkartabyo) সোশ্যাল মিডিয়ার একটা পোস্টের স্ক্রীন শর্ট লকেট চ্যাটার্জির পোস্টের কমেন্ট সেকশনে শেয়ার করেছেন । তিনি মহিলাকে মারধর করা ব্যক্তির স্বীকারোক্তি বলে দাবি করে লিখেছেন, ‘এই যে ওনার স্বীকারোক্তি ।’ ওই পোস্টটি জনৈক ডঃ ইয়ার আলির (Dr Year Ali) করা। তাতে লেখা হয়েছে,’ফেসবুকে যে ভিডিও টিতে দেখছেন যে আমি আমার স্ত্রী কে প্রহার করছি, ওটা মুলতঃ ১২ ইং মার্চের ঘটনা। অবাধ্য হলে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী কাজ করা যায়:
“পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্য যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই পূণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর হেফাযতে তারা হেফাযত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান।” (৪:৩৪)
এদিকে ভিডিও দেখার পর বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন । অঙ্কন মুখার্জি লিখেছেন, ‘তারপরেও তো এরা (মুসলিম মেয়েরা) দাসী হতে রাজি তাদের স্বামীর।’ শিবশঙ্কর নন্দির প্রতিক্রিয়া, ‘মুসকিল হলো, আপনার উদ্দেশ্য নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নয়, মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে! এখানে সম্প্রদায়ের উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল না অথচ ছবিটি ঐ সম্প্রদায়ের হাত ধরেই পেয়েছেন! বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ধর্মীয় নোংরামিতে জড়িয়ে গেলে খারাপ লাগে!’
গৌতম কর নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যারা প্রতিবাদ না করে ভিডিও বানিয়েছে তাঁরা বেশি দোষী! সবাই মূক বন্দী হয়ে দেখে থাকলে প্রতিবাদ কে করবে?’ তরুন রে লিখেছেন,’ম্যাডাম এই বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিদের চিকিৎসক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও যোগ্যতার দরকার হয় না । ALAMIN ও পিসির স্কীমের দৌলতে হাজার হাজার এমন চিকিৎসক বাংলায় ছেয়ে গেছে ও সাধারণ শিক্ষার মতো চিকিৎসা ব্যাবস্থার ও গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে ।’।