এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,৩০ এপ্রিল : পহেলগামে সন্ত্রাসীদের হিন্দু নরসংহারের পর কংগ্রেস, বামপন্থী, সমাজবাদী পার্টি আর তৃণমূল কংগ্রেস কাশ্মীরের মুসলিমদের কট্টরপন্থী মানসিকতাকে আড়াল করতে আসারে নেমে পড়েছে । কিন্তু কাশ্মীরের মুসলিমদের সম্পর্কে যে তথ্য উঠে আসছে তা খুবই উদ্বেগজনক । আসলে কাশ্মীরের ঘরে ঘরে ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষের পাশাপাশি পাকিস্তান প্রেম উপত্যকায় শান্তি স্থাপনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ৩৫(এ) এবং ৩৭০ ধারা অপসারণের পর কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোমড় তো নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন, কিন্তু কাশ্মীরি মুসলিমদের মন থেকে ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষের পাশাপাশি পাকিস্তান প্রেম উপড়ে ফেলা সম্ভব হয়নি । পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের কয়েক হাজার স্থানীয় মুসলমানদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় এই চিত্র উঠে এসেছে ।
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী আর কেউ নয়,বরঞ্চ লস্কর সন্ত্রাসী কুপওয়ারার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ । তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এনআইএ-এর তদন্তে । তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে যে পহেলগাম হামলার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল, যারা এফটি অর্থাৎ হামলায় জড়িত পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের সহায়তা করেছিল। ফারুক লস্করের একজন শীর্ষ কমান্ডার এবং সে এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে(পিওকে) লুকিয়ে আছে ।
বিগত দুই বছর ধরে এই সন্ত্রাসী আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের সহায়তায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছিল। সবচেয়ে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলাটি হয়েছে পহেলগামে। হামলা চালানো সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের তিনটি সেক্টর থেকে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে। উপত্যকার পাহাড়ি রাস্তাঘাট সম্পর্কে তার খুব ভালো জ্ঞান আছে।
কুপওয়ারার বাসিন্দা সন্ত্রাসী ফারুক আহমেদের বাড়িটি কয়েকদিন আগে নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করেছে । পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর তার অনেক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে, সে পাকিস্তানে বসে একটি নিরাপদ অ্যাপের মাধ্যমে তার নেটওয়ার্কের লোকেদের সাথে কথা বলছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল ।।

