এইদিন ওয়েবডেস্ক,আজমগড়(উত্তরপ্রদেশ),২১ নভেম্বর : দিল্লিতে প্রেমিকাকে মেরে মৃতদেহের ৩৫ টুকরো করা আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে । তার জের মিটতে না মিটতেই একই ধরনের নৃশংস ঘটনার স্বাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের আহরাউলা থানা এলাকার গৌরী কা পুর গ্রাম । আফতাবের মতই প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে নির্জন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল ঘাতক প্রেমিক যুবরাজ যাদব । পুলিশ তাকে একটি এনকাউন্টারে গ্রেফতার করেছে । পাশাপাশি ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে যুবরাজের পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে । পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় পলাতক যুবরাজের খুড়তুতো ভাই সর্বেশসহ প্রমীলা যাদব, সুমন, রাজারাম, কলাবতী, মঞ্জু, শীলা নামে পরিবারের সদস্যরা । তাদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
সংবাদ মাধ্যম অমৃত বিচারে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে নিহত তরুনীর নাম আরাধনা । তিনি যুবরাজ যাদবের প্রাক্তন বান্ধবী । গত ৯ নভেম্বর আরাধনাকে বাইকে চাপিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল যুবরাজ । সেখানে পৌঁছানোর পর খুড়তুতো ভাই সর্বেশের সহায়তায় আরাধনাকে সে শ্বাসরোধ করে খুন করে । তারপর সে প্রেমিকার মৃতদেহের ৬ টি টুকরো করে । মাথা ছাড়া পাঁচটি দেহাংশ পলিথিনের ব্যাগে ভরে কূপে ফেলে এবং মাথাটি কূপ থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে আসে সে । গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় লোকজন গ্রামের বাইরে একটি পরিত্যক্ত কূপের মধ্যে লাশের কিছু টুকরো দেখতে পেলে খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে । এরপর গ্রেফতার করা হয় ঘাতক প্রেমিকাকে ।
জানা গেছে,যেখানে প্রেমিকার মাথাটি ছুড়ে ফেলেছিল রবিবার সেখানে অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ । সেই সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে ঝোপের মধ্যে থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালাতে শুরু করে । শেষে পালটা পায়ে গুলি করে ঘাতক প্রেমিককে পুলিশ ধরে ফেলে । পুলিশ একটি ধারালো অস্ত্র, একটি দেশি পিস্তল এবং এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে । আজমগড়ের এসপি অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন,এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবরাজ যাদবের পরিবারের বাকি সদস্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।।