1) অভিব্যক্তি কাকে বলে?
উঃ- যে মন্থর ও গতিশীল ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কোনো সরলতম জীব থেকে জটিল জীবের উদ্ভব হয় তাকে অভিব্যক্তি বা জৈব অভিব্যক্তি বা জীব বিবর্তন বলে।
2) রাসায়নিক বিবর্তনবাদ মতবাদটি কার?
উঃ- ওপারিন ও হ্যালডেন।
3) কোয়াসারভেট কাকে বলে?
উঃ- উত্তপ্ত তরল স্যুপ থেকে প্রোটিনগুলো আলাদা হয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে যে কোলয়েড গঠন করে তাকে কোয়াসারভেট বলে।
4) মাইক্রোস্ফিয়ার তত্ত্বটি কার ?
উঃ- সিডনি ফক্স।
5) নগ্ন জিন কাকে বলে?
উঃ- বিজ্ঞানীদের মতে প্রথম সৃষ্ট নিউক্লীয় অ্যাসিডগুলি ছিল RNA প্রকৃতির। এদের নগ্ন জিন বলে।
6) মিলার ও উরের পরীক্ষায় মিথেন, NH3 ও H2-এর অনুপাত কত?
উঃ- 2ঃ2ঃ1
7) পৃথিবীতে প্রথম কোথায় জীবের সৃষ্টি হয়েছিল?
উঃ- সমুদ্রের জলে।
৪) ফিলোজফি জুওলজিক গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উঃ- ফরাসি বিজ্ঞানী জাঁ ব্যাপটিস্ট দ্য মনেট ল্যামার্ক।
9) অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন এবং ব্যবহার ও অপব্যবহার সূত্রটি কার ?
উঃ- ল্যামার্কের।
10) ব্যবহার ও অপব্যবহার সূত্রটি লেখো?
উঃ- ল্যামার্কের মতে- একটা জীব যে অঙ্গের ব্যবহার বেশি মাত্রায় করে সেগুলি সরল ও সুগঠিত হয়। অপরপক্ষে যে অঙ্গগুলি কম ব্যবহার করা হয় সেগুলি দুর্বল হতে হতে কালক্রমে অবলুপ্ত হয়।
11 ) অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন বলতে কী বোঝ?
উঃ- ল্যামার্কের মতে কোনো জীব একটা জনুতে যে বৈশিষ্ট্য লাভ করে সেগুলি পরবর্তী জানুতে সঞ্চারিত হয়।
অর্জিত গুণের ক্রমিক বংশানুসরনের ফলে বেশ কয়েক জনুর পর অপত্যদের মধ্যে এত বেশি নতুন গুণের আবির্ভাব ঘটে যে, অপত্যদের তখন নতুন প্রজাতিরূপে গণ্য করা হয়। ল্যামার্কের মতে, এভাবে অর্জিত গুণের বংশানুসরনের ফলেই নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়।
12) অভিব্যাক্তির জনক কাকে বলা হয়?
উঃ- চার্লস ডারউইনকে।
13) ডারউইনের লেখা গ্রন্থের নাম কী?
উঃ- অন দি অরিজিন অব স্পিসিস বাই মিনস অব ন্যাচারাল সিলেকশন।
14) যোগ্যতমের উদ্বর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ কার মতবাদ?
উঃ- ডারউইনের।
15) যোগ্যতমের উদবর্তন বলতে কী বোঝ?
উঃ- ডারউইনের মতে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকটি জীবকে লড়াই করতে হয় । অনুকূল প্রকরণযুক্ত জীব জীবনসংগ্রামে জয়ী হয় এবং বেঁচে থাকার জন্য যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। জীবনসংগ্রামের এই উত্তরণকে যোগ্যতমের উদবর্তন বলা হয়।
16) প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝ?
উঃ- যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল ভেদ বা অভিযোজনমূলক ভেদ সমন্বিত জীবেরা অনান্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি প্রাকৃতিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।
অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয় বলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যধিক হারে বংশবিস্তার করে। অপরপক্ষে প্রতিকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয় না। ফলে পরাজিত সৈনিকের মতো ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়।
17) সমসংস্থ অঙ্গ কাকে বলে?
উঃ- জীবদেহের সেসব অঙ্গ উৎপত্তিগত ও গঠনগত ভাবে একই কিন্তু কার্যগতভাবে আলাদা তাদের সমসংস্থ অঙ্গ বলে।
যেমন- পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা, তিমির ফ্লিপার, সিলের অগ্রপদ, ঘোড়ার অগ্রপদ ও মানুষের হাত ইত্যাদি।
18) সমবৃত্তীয় অঙ্গ কাকে বলে?
উঃ- জীবদেহের যেসব অঙ্গ কার্যগতভাবে একই কিন্তু উৎপত্তিগত ও গঠনগতভাবে আলাদা তাদের সমবৃত্তীয় অঙ্গ বলে।
যেমন- আরশোলার ডানা, পাখির ডানা।
19) জীবাশ্ম কাকে বলে?
উঃ- মৃত জীব জন্তুর দেহ পাললিক শিলাস্তরে চাপা পড়ে গেলে সেখানে জীবটির একটি হুবহু ছাপ পড়ে যায়। একে জীবাশ্ম
বলে।
20) জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে?
উঃ- সুদূর অতীতে যে সকল জীব উৎপত্তি লাভ করেও কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে টিকে আছে, কিন্তু তাদের সমসাময়িক জীবগুলি বহুপূর্বেই অবলুপ্ত
হয়ে গেছে তাদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
যেমন – পেরিপেটাস, সিলাকাস্থ, স্পোনোডন ইত্যাদি
20) লুপ্তপ্রায় অস্ত্র বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কাকে বলে?
উঃ- জীবদেহে অবস্থিত যে অঙ্গগুলি একদা সক্রিয় ছিল কিন্তু বর্তমানে নিষ্ক্রিয় বা ক্ষয়প্রাপ্ত অবস্থায় অবস্থান করে, তাদের লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অস্ত্র বলে।
যেমন – অ্যাপেন্ডিক্স, ককসিক্স, শল্কপত্র ইত্যাদি।
21) জীব সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়গুলি লেখো ?
উত্তর - জীব সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়গুলি হলো -
প্রথম পর্যায় - i) সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী একটি জ্বলন্ত গোলকের মতো ছিল। প্রাথমিক অবস্থায় C, H, N প্রভৃতি মুক্ত অবস্থায় ছিল।
ii) পরে তাপ বিকিরণ করে সেগুলি ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়।
iii) পরে আরও ঘনীভূত হয়ে জল উৎপন্ন করে এবং জলের মধ্যে NH3 ও CH4 (মিথেন) থাকে। ধীরে ধীরে জীব সৃষ্টি পক্ষে অনুকূল পরিবেশ গড়ে ওঠে।
দ্বিতীয় পর্যায় - দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউরিয়া, শর্করা, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রভৃতি জৈব পদার্থ সৃষ্টি হয়।
তৃতীয় পর্যায়- প্রোটিন, ফ্যাট, নিউক্লিক অ্যাসিড প্রভৃতি জীবদেহ গঠনের উপযোগী যৌগ গড়ে ওঠে।
চতুর্থ পর্যায়- প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিয় প্রোটিন যা থেকে প্রথমে প্রোটো-ভাইরাস ও পরে ভাইরাস গড়ে ওঠে।
পঞ্চম পর্যায় - এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাকটেরিয়া ও পরে প্রোটোজোয়া। এই প্রোটোজোয়া হল পৃথিবীর আদি কোশ। এরপর ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় উদ্ভিদ ও প্রানী।
★ লিখেছেন : সোমনাথ চ্যাটার্জ্জী (M.Sc, B.Ed)