ঠাকুরদা ,
আজ “রবিবার”। “ছুটি” র দিন। আপনাকে “শেষ চিঠি” লিখিতেছি। গতকল্য “পাঁচটা না বাজতেই” আমাদের সেরেস্তার “ম্যানেজারবাবু” আমাদের গৃহে “হাজির” হইলেন । ভদ্রলোক ভীষন “ভালোমানুষ”। তাহার নিকট হইতে আপনার খবর জানিয়াছি। কিন্তু তাহার অভিসন্ধি বুঝিতে পারিলাম না। আমার দিদি “মহামায়া”-কে স্মরণে আছে ? না থাকারই কথা। অনেক দিনের আগের ঘটনা। তার যে কি “দুর্বুদ্ধি” ধরিল ভগবান জানেন ! সে “রাসমনির ছেলে” কে বিবাহ করিবে মনস্থির করিল । ছেলেটা “যেমন পাজি তেমন বোকা” । ইহা হইতে কি আমাদের “মুক্তি” নাই। “ঠাকুরদা” আপনি “বিচারক” আপনি আমাদের “মুক্তির উপায়” বলিয়া দিন। এই বিপদে আমাদের “উদ্ধার” করুন। যে মানসিক “শাস্তি” আমরা পাইতেছি তাহা বলিবার নহে। উত্তরোত্তর আমাদের সম্পর্কের “ব্যবধান” বৃদ্ধি পাইতেছে। এই লইয়া আমাদের পাড়ার “হালদার গোষ্ঠী” যারপরনাই “বদনাম” করিতেছে । ইহাই কি আমাদের জীবনের “শেষ পুরস্কার”।
কোন “গুপ্তধন” এর আশায় ছুটিয়া চলিতেছে আমার “দিদি” সেটা বোধগম্য হইতেছে না । আপনি কহিতেন “ভীষন শখ দাদা হব”। দাদা তো হইয়াছেন “ঠাকুরদা” আমি আপনাকে “ভাইফোঁটা” করিয়াছি । তাই আপনার কাছে আমার নিবেদন ,”ভিখারিনী”কে ” উদ্ধার” করুন। তা না হইলে আমি “প্রতিহিংসা” পরায়ন হইয়া উঠিব। “ধ্বংস” করিয়া দিব সব কিছু । তখন এই নাতনির “মানভঞ্জন” সহজ হইবে না কিন্তু । বলে রাখলাম আগের থেকে। আমি পণ করিয়াছিলাম “দিদি”-র বরের কপালে “রাজটিকা” পরাইয়া মাথায় “মুকুট” দিয়া “মাল্যদান ” ও “শুভদৃষ্টি” করাইয়া বিবাহ দিব ।
“রাজার বাড়ি” গিয়া “রাজরানী” হইয়া রহিবে ।
যেখানে “দেনা পাওনা” বলিয়া কিছু থাকিবে না ।
আমার “পণরক্ষা” বুঝি হইল না “ঠাকুরদা” । ইহাকে আপনি ” আষাঢ়ে গল্প” বলিয়া মনে করিবেন না ।
তাহা হইলে “ল্যাবরোটারি” তে ঢুকিয়া সবকিছু
“ধ্বংস” করিয়া দিব । তবেই আমার “ছুটি” ।
প্রনাম লইবেন,
ইতি সমাপ্তি