এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ মার্চ : যেকোনো অমুসলিম রাষ্ট্রের কাছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ থেকে কম বিপজ্জনক নয় বামপন্থীরা । বিশেষ করে ভারতীয় বামপন্থীরা প্যালেস্তাইনের জন্য মড়াকান্না কাঁদলেও নিজের দেশকে টুকরো টুকরো করার ইচ্ছা পোষণ করে । ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে…ইনসাল্লা…ইনসাল্লা’ শ্লোগান এই সমস্ত ভারতীয় বামপন্থীদেরই তোলা । কথিত সেকুলারিকজম ও বাকস্বাধীনতার নামে তারা কার্যত রাষ্ট্রদোহীতা করে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে । সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটে টাঙানো পোস্টারে বামপন্থীদের রাষ্ট্রদোহীতার এমনই নজির দেখা যায় । তাতে কালো কালি দিয়ে লেখা হয়েছিল ‘আজাদ কাশ্মীর,’ ‘ফ্রি প্যালেস্তাইন’ । তলায় লেখা রয়েছে অতিবাম ছাত্র সংগঠন পিডিএসএফের নাম । পাশের দেওয়ালেও এমন দেশদ্রোহী শ্লোগান লেখা হয়েছিল ।
যদিও পরে যাদবপুর থানার পুলিশ ওই সমস্ত পোস্টার খুলে নিয়ে যায় । মুছে দেয় দেওয়াল লিখন । রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । কিন্তু এখনো পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনো খবর নেই বলে জানা গেছে । তবে তাদের কর্মসূচি সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাদের নেতৃত্বকে তলব করে স্লোগানকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এই প্রথম নয়,এর আগেও যাদবপুরে অতিবাম ছাত্র সংগঠনের তরফে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ।
বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ বামপন্থীদের এই প্রকার দেশদ্রোহীতার তীব্র সমালোচনা করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন,’এই পোস্টার কাশ্মীরের নয়, এটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালের পোস্টার । সরকারের টাকায় এবং মদতে বছরের পর বছর পুষ্ট হচ্ছে এই মাওবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী বামপন্থী ছাত্ররা। এই ধরনের বিচ্ছন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্য বাঙালিকে গোটা দেশ কুনজরে দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সামলাতে ব্যর্থ। তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার দায় কেন নেবে পশ্চিমবঙ্গবাসী? তাঁর উচিত, সব ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা। রাজ্য জুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেলেও ঠুঁটো জগন্নাথ স্বরাষ্ট্র দপ্তর ।’
একই মন্তব্য করেছেন বিজেপির যুবনেতা তরুনজ্যোতি তিওয়ারি । তিনি লিখেছেন,’জনগণের করের টাকায় পরিচালিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশদ্রোহিতার প্রচার কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। আজাদ কাশ্মীরের পক্ষে স্লোগান তুলে যারা দেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে গেছে, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের নীরবতা এবং সম্ভাব্য মদত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এই ধরনের অতি বামপন্থী ও নকশাল কার্যকলাপ চলতে পারে না। তাই যারা এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে UAPA-র মতো কঠোর আইন প্রয়োগ করে গ্রেপ্তার করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর সাহস না পায়।’।