এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০২ মার্চ : ফের কোর্ট ম্যারেজ করতে গিয়ে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের হাতে বেদম মার খেলো এক লাভ জিহাদি । এবারে ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের সিভিল কোর্ট । সালমান নামে এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু দলিত মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আদালতে বিয়ে করার চেষ্টা করেছিল৷ বৃহস্পতিবার, সে মেয়েটিকে সিভিল কোর্টে নিয়ে আসে এবং সবার সামনে তার সিঁথিতে সিঁদুর লাগিয়ে দেয়৷
এদিকে খনর পেয়ে মেয়ের বাবা-মাও আদালতে পৌঁছেছিলেন, তারা ভেবেছিলেন যে তাদের মেয়েকে আদালতে কিছু জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে । কিন্তু সালমান যে তাদের মেয়েকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছে তা তারা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি । পরে জানতে পেরে মেয়ের পরিবার এর বিরোধিতা করলে সালমান বলপ্রয়োগ শুরু করে । এরপর আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা জিজ্ঞাসাবাদের পর সালমানকে বেধড়ক মারধর করেন। কোনওরকমে সে তার জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে গেল।
পুলিশ মেয়েটিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মেয়ের মা বলেছেন যে সালমান তার মেয়েকে প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র করেছিল । সালমানের বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছে । জৈনপুর পুলিশ জানিয়েছে,সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারী মাসে মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলা আদালতে এক ব্রাহ্মণ তরুনীকে কোর্ট ম্যারেজ করতে গিয়ে আইনজীবীদের হাতে বেদম মার খেতে হয় ২৭ বছর বয়সী রাকিন খানকে । যার সাথে ২১ বছরের এক হিন্দু তরুনী বোরখা পরে এসেছিল। বলা হচ্ছে যে হিন্দু মেয়েটি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের এবং ৬ মাসের গর্ভবতী ছিল । একজন আইনজীবী মেয়েটির আধার কার্ডে হিন্দু নাম পেয়ে হট্টগোল শুরু করেন। আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে এটি লাভ জিহাদের মামলা। এর পর কিছু ক্ষুব্ধ আইনজীবী রাকিন খানকে বেদম পেটাতে শুরু করেন । মেয়েটিকেও মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল । কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।।