এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ নভেম্বর : সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার সামনে সন্ত্রাসীদের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৪ জন । আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর । একটি ইকো ভ্যানে আইইডি-তে বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা । এদিকে এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগসূত্র থাকার খবর সামনে আসছে । ইন্টেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, “অপারেশন সিঁদূর”-এর প্রতিশোধ নিতেই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই- মোহাম্মদের পাশাপাশি পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই যৌথভাবে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল । শুধু তাইই নয়,ফরিদাবাদের যে সন্ত্রাসবাদী মডিউলটির উন্মোচন হয়েছে সেটিও ভারত জুড়ে মারাত্মক নাশকতা চালানোর জন্য পাকিস্তানের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসাবে দাবি করা হচ্ছে ।
ইতিমধ্যে লাল কেল্লার কাছে একটি পার্কিং লটের ফুটেজ সামনে এসেছে । তাতে দেখা যাচ্ছে যে জৈশ- ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী ডাঃ উমর মোহাম্মদকে গাড়িতে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে৷ বিকেল ৪টার দিকে, গাড়িটি দিল্লির দরিয়াগঞ্জ বাজার থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। গাড়িটি এটি প্রায় ৩ ঘন্টা পার্কিং লটে ছিল। ডাঃ উমর মোহাম্মদ গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার চার মিনিট পরেই বিস্ফোরণটি ঘটে । এই ফুটেজেই প্রমানিত যে ডাক্তার উমর মোহাম্মদ বিস্ফোরণের আগে জায়গাটি রেইকি করতে এসেছিল ।
এর আগে ভারতকে অস্থির করতে পাকিস্তানের বিরাট ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা এসটিএফ । ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৬০ কেজি তাজা বিস্ফোরক, ২টি একে রাইফেল, ৬৪টি টাইমার বাজেয়াপ্ত করে স্পেশাল টার্স্ক ফোর্স । রাজ্যজুড়ে মোট বাজেয়াপ্ত করা মোট আইইডি উপাদান ছিল প্রায় ২,৯০০ কেজি, একে রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এই সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের পুলওয়ামার ডাক্তার ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল, কাশ্মীরের কুলগামের ডাঃ আদিল আহমেদ রাথের, কাশ্মীরের অনন্তনাগের ডাঃ শাহিন শহীদ। ডঃ শাহিনের গাড়ি থেকে একটি একে রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে,শোপিয়ানের একজন ইমাম এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যান্য OGW সহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাল কেল্লা মেট্রোর কাছে সোমবার সন্ধ্যা ৬:৫২ নাগাদ বিস্ফোরিত সিলভার আই২০টি পুলওয়ামার চতুর্থ ডাক্তার তারিকের ছিল, যিনি গাড়িটি সে উমর মুহাম্মদকে দিয়েছিল, যে একই মডিউলের অংশ ছিল । সম্ভবত উমর বিস্ফোরণে মারা গেছে (কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ নেই) । তবে পুলিশ এখনও তার অবস্থান যাচাই করছে। এদিকে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ডাঃ উমর মুহাম্মদের একটা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে৷
জানা গেছে,বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্রের মতোই বিস্ফোরণের লক্ষণ ছিল দিল্লির লালকেল্লার বিস্ফোরণে। যদিও পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ২৬/১১-এর পর দিল্লিতে সবচেয়ে বড় সমন্বিত হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য একাধিক আইইডি তৈরির উপকরণ থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রস্তুত বলে বলে মনে করছে তদন্তকারী দল । তবে এবারে ভারতে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতিতে কিছু উদ্বেগজনক তথ্য সামনে আসছে৷ প্রথমতঃ, মুসলিম সম্প্রদায়ের উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ার প্রবনতা৷ দ্বিতীয়তঃ, ক্যাস্টর অয়েল ও পটাসিয়াম সায়ানাইডের সাহায্য “রিসিন” নামে বিষাক্ত পদার্থ প্রস্তুত করে নাশকতার কাজে ব্যবহার করা৷ এই মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিল ডাক্তার আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দ ৷।

