এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাঁচি,৩০ আগস্ট : অঙ্কিতা সিংকে নৃসংশভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনার রেশ মিটিতে না মিটতেই ফের শিরোনামে ইউপিএ জোট সরকার শাসিত ঝাড়খণ্ড ৷ এবার ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার পান্ডু ব্লকের মুরুমাতু গ্রামের পাশে টংরির কাছে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বসবাসকারী মুসাহার সম্প্রদায়ের ৫০ টি পরিবারের বাড়ি ভেঙে তাদের গ্রাম থেকে উৎখাত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে । তারা দাবি করেছে, মাদ্রাসার জায়গায় ওই পরিবারগুলি এতদিন বসবাস করছিল ।
এদিকে এই ঘটনার পর হেমন্ত সোরেন সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি । ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস ঘটনার প্রতিবাদ করে টুইটারে লিখেছেন,’হিম্মতওয়ালী সরকারে জিহাদিদের সাহস বেড়েছে। বাড়িগুলোকে মাদ্রাসার জমি ঘোষণা করে মহাদলিত পরিবারগুলোকে গৃহহীন করা হয়েছে এবং এই মূক-বধির সরকার এখন ফুর্তি করছে ৷’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘এই ঘটনাতেই প্রমাণিত হয় যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কিভাবে রাষ্ট্রের জনসংখ্যা পরিবর্তনের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে ।’
জানা গেছে,মুরুমাতু গ্রামের পাশে পাহাড়ের গায়ে মাটির দেওয়াল ও খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর করে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বসবাস করছিল মুসাহার সম্প্রদায়ের ৫০ টি পরিবার । মূলত খেত মজুরি ও পশুপালন তাঁদের পেশা । কিন্তু সোমবার সকালে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু লোকজন চড়াও হয়ে ৫০ টি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় । পরিবারগুলির যা কিছু মালপত্র ছিল তা গাড়িতে চাপিয়ে ছতরপুর ব্লকের লোটো গ্রামের কাছে ফেলে দিয়ে আসে বলে অভিযোগ ।
গৃহহীন মুসহর, সঞ্জয় মুসহর, জিতেন্দ্র মুসহর, নন্দলাল মুসহররা বলেন, ‘ওই জায়গা আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে । অথচ মাদ্রাসার জায়গা দাবি করে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে উৎখাত করে দেওয়া হল । গত কাল থেকে রান্নাবান্না হয়নি । পরিবারের শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় আছে ।’ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পান্ডুর সমাজসেবক ধর্মদেব সিং যাদব । তিনি বলেন, ‘মুসাহার পরিবারগুলোকে দুর্বল ভেবে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা অপরাধ । আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি ।’ এদিকে গৃহহীন পরিবারগুলি সোমবার বিকেলে পান্ডু থানার দ্বারস্থ হন । পান্ডুর বিডিও তথা সার্কেল অফিসার রাহুল কুমার বলেন, ‘খবর পেয়েছি । ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’।