অভিষেক চৌধুরী,বর্ধমান,১৯ ডিসেম্বর : ‘শণিবারে শণি বিদায় ‘এইভাবেই পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের প্রাক্তণ বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু,সৈকত পাঁজা সহ সাংসদ সুনীল মন্ডলকে কটাক্ষ করে তাদের বিরুদ্ধে নিন্দায় গর্জে উঠলেন ।শনিবার সন্ধ্যায় কালনা শহরে বিশ্বজিৎ কুন্ডুর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে তার ছবিতে কালি ছিটিয়ে তার কুশপুতুল দাহ করলেন কালনা শহরের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।শুধু তাই নয় কালনা মহকুমা এলাকার দুই বিধায়ক ও সাংসদের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পরে-পরেই শণিদের বিদায় হয়েছে এই মন্তব্য করে সেই আনন্দে মিষ্টিমুখ ও আবির খেলা করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।শণিবার সন্ধ্যায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নেন কালনা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ হালদার, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সহ সভাপতি সন্দীপ বসু,কালনা শহর তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি ঋতব্রত সুর সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারির হাত ধরে শণিবার মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগদান করেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল,কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সৈকত পাঁজা।এছাড়াও জেলার গুসকরা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ও এইদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন।দলত্যাগী এই সব বিধায়ক ও সাংসদদের বিজেপিতে যাওয়াটাকে যদিও ‘পাপিদের ’ বিদায় বলে দাবি করে বর্ধমানের তৃণমূল কর্মীরা।এইদিন সবুজ আবির মেখে তারা মিষ্টি মুখও করেন।এই বিষয়ে কালনার তৃণমূল নেতা সৌরভ হালদার ও সন্দীপ বসু বলেন,‘বিশ্বজিৎ কুন্ডু বহুদিন ধরেই একের পর দলবিরোধী কাজ চালিয়ে গেছেন।শুধু তাই নয় তেরো জন আত্মীয় স্বজনের সরকারি চাকরিও করে দিয়েছেন।
দেখুন ভিডিও :
স্বজনপোষন,দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উচ্চ নেতৃত্বকে জানানোও হয়েছে।আর সুনীল মন্ডলও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টাও করেছে একাধিকবার।সুনীল মন্ডল ও বিশ্বজিৎ কুন্ডু দুজনেই যখন বুঝতে পেরেছেন আগামী নির্বাচনগুলোতে তারা আর দলের টিকিট পাবেন না ঠিক তখনিই তৃণমূল ছেড়ে ওনারা চলে গেলেন।এটা দলের পক্ষে খুব ভালো একটা খবর।শণিদের বিদায় পাপীদের বিদায়ে আমরা আনন্দে মিষ্টিমুখ করি,আবির মাখানো হয়।বিশ্বজিৎ কুন্ডুর কুশপুতুল দাহ সহ ছবি কালি মাখায় কর্মী সমর্থকরা।’অন্যদিকে মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে তার নিন্দায় মুখর হোন মন্তেশ্বরের তৃণমূল নেতৃত্ব।এই বিষয়ে ব্লক সভাপতি আজিজুল হক সেখ বলেন,‘সৈকত পাঁজা কোনদিনই তো দলটা করেননি।তার বাবা সজল পাঁজার মৃত্যুর পর ওই আসনে তাকে দল জিতিয়ে নিয়ে আসে।সাংগঠনিক কোনো বিষয়ে মানুষের সাথে তার সম্পর্কও ছিলো না।এমনিতেই তিনি দল থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েই ছিলেন।তবুও এই ঘটনায় দলের সঙ্গে যে বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা উনি করলেন মন্তেশ্বরের মানুষ তা মনে রাখবেন।’অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি।স্বপন বাবু শুধু বলেন ,“উনি যা বলছেন বলুন।প্রতিক্রিয়া দিয়ে ওকে গুরুত্ব দিতে চাইনা। ”