এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ মে : বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননা, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সোমবার রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা খুব সিরিয়াস বিষয়’ ।কুণাল ঘোষ-সহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধেও রুল জারি করেছে আদালত। এনিয়ে চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আক্রমণ ও পালটা আক্রমণ । এদিকে একজন এক্স ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়ার জবাবে রাজ্য বিজেপির যুবনেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন । তিনি দাবি করেছেন,২০১৭ সালে কুনাল ঘোষ নাকি লকেট চ্যাটার্জিকে ধরে বিজেপিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি পাত্তা পাননি ।
আসলে কুণালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল জারির প্রতিক্রিয়ায় তরুনজ্যোতি তিওয়ারি এক্স-এ লিখেছেন, ‘যখন তখন যা খুশি বলা যায় না—এই সরল সত্যটা হয়তো আজ একটু হাড়ে হাড়ে টের পেলেন কুনাল ঘোষ। বড় বড় ডায়লগ, মিডিয়া কভারেজ আর নাটকীয় ভঙ্গিমায় যিনি সদা প্রস্তুত, তিনি আজ হাইকোর্টে এসে লেজ গুটিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। Rule issue হতেই মুখ শুকিয়ে গেল, আর তখনই শুরু হল ‘ব্যাকডোর কেলেঙ্কারি’। পিছন থেকে ফিসফিসিয়ে—“আমি একটু জজের সঙ্গে কথা বলতে পারি”—এই সংলাপে নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের সূচনা। কিন্তু মাননীয় বিচারপতিরা তো থিয়েটার দেখতে আসেননি, তাঁদের বিরক্তি স্পষ্ট। একটা কথা মানতেই হবে, কোর্টের ভেতরে এমন কমেডি সচরাচর দেখা যায় না।’
তিনি আরও লিখেছেন,’আইনজীবী সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও, কুনালবাবু হাইকোর্টকে যেন কালীঘাটের গলি ভেবে ফেলেছিলেন। কিন্তু এখানে আর গলির নাটক চলবে না—Rule issue হয়ে গেছে। এবার বিচারব্যবস্থাকে অপমান করার দাম চোকাতে হবে। জেলের হাওয়া খাওয়ার অভ্যাস তাঁর পুরোনো, তাই সেখানে যেতে বিশেষ আপত্তি হবে বলেও মনে হয় না। অবশ্য আজ হাইকোর্টে যারা ১২:৩০ থেকে ১টার মধ্যে ছিলেন, তারা একটু দেখে নিন তো, কিছু চুরি গেছে কিনা। কারণ, আজ এক বিশেষ প্রজাতির “মার্কা মারা চোর” আদালতে এসেছিলেন। সাবধানে থাকুন—সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। আর যারা কুনাল ঘোষের কথায় নেচেছিলেন, তাঁদের জন্য রইল ‘শুভ নন্দন’।’
তরুনজ্যোতির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অংশুমান দাসগুপ্ত লিখেছেন,’এই কুণাল ঘোষ যদি আপনাদের দলে নাম লেখায় তখন কিন্তু আপনাকেই আবার ওনার সততার সার্টিফিকেট দিতে দিল্লী হাই কমান্ড থেকে দিতে বলবে। তখন কি করবেন ? মুখ শুকিয়ে তাদের আদেশ পালন না গর্জে উঠবেন। যতদূর ধারণা গর্জে ওঠার মতো সাহস আপনার নেই। তখন আপনিও “শুভ আগমন” বলে নেচে উঠবেন।’
উত্তরে তরুনজ্যোতি লিখেছেন,’আপনার মত বিশুদ্ধ প্রজাতির চামচাকে বলার প্রয়োজন নাই তাও বলে রাখা দরকার। ২০১৭ সালে উনি চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার। লকেট দি কে ধরে চেষ্টা করেছিলেন ঢোকার। দল পাত্তা দেয়নি।’।

