নীহারিকা মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৩ ফেব্রুয়ারী : ওদের কেউ খুবই বিখ্যাত নিজ গুণে যাদের খ্যাতি বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছে গ্যাছে দেশের অন্যান্য বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়। কারও পরিচিতি আবার দেশের সীমা অতিক্রম করে পৌঁছে গ্যাছে প্রবাসী বাঙালিদের ঘরে ঘরে। কেউ আবার খুব সাধারণ হয়েও মানুষের মঙ্গলের জন্য অসাধারণ সব কাজ করে চলেছেন। এই রকম একঝাঁক কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সমাজসেবী, আইনজীবী, সাংবাদিক সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির উদ্যোগে পল্লীকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ১৪১ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুক্রবার ৩ রা মার্চ কবির জন্মভিটে মঙ্গলকোটের কোগ্রামের ‘মধুকর’ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় ‘কুমুদ সাহিত্যমেলা’। সবার উপস্থিতিতে গমগম করে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। কবির স্মৃতিচারণার সঙ্গে সঙ্গে চলে স্বরচিত কবিতা পাঠ, সঙ্গীত পরিবেশন, বই প্রকাশ ও সাহিত্যচর্চা। সব মিলিয়ে সাহিত্যের আদর্শ পরিবেশ গড়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টবেঙ্গল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আইনজীবী শ্যামল ঘটক, কলকাতা হাইকোর্টের এ.জি.পি আনসার মণ্ডল, বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার, পুলিশ সমাজের গর্ব মঙ্গলকোট থানার আই.সি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী পিণ্টু মুখার্জ্জী, পল্লী কবির নাতনি মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবির নাতনি সোনালী কাজী, কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিখ্যাত আইনজীবী তথা সাহিত্যিক জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহরায়, সংবিধান বিশেষজ্ঞ তথা সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী বৈদুর্য ঘোষাল, অন্তরা সিংহরায় সহ আরও অনেকে। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন বিশিষ্ট কবি কাজী নূর।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত প্রতিটি ব্যক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তাদের হাতে স্মারক হিসাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত মেমেণ্টো তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও কুমুদ সাহিত্য মেলার প্রচার ও প্রসারের জন্য ত্রিশ জন সাংবাদিকের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
উপস্থিত প্রতিটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন বললেন,সবার সহযোগিতায় এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধীরে ধীরে এই সাহিত্যমেলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আশাকরি আগামী দিনে এই সাহিত্যমেলা আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।।