এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,২৯ জুলাই : পাকিস্তান পরিচালিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের আশমুজির বাসিন্দা কলেজের এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী । পিএইচডি করা ওই অধ্যাপকের নাম ডঃ রুবানি বশির ওরফে ডক্টর সাবিল (Dr: Rubani Bashir alias Dr: Sabeel) । ধৃত সাবিল পাকিস্তান পরিচালিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম)-এ যোগ দিতে উপত্যকার মুসলিম যুবকদের অনুপ্রাণিত করত । এমনকি তাদের অর্থ ও লজিস্টিক সহায়তাও দিত ওই অধ্যাপক সন্ত্রাসী । জিজ্ঞাসাবাদে ডাঃ বশির গোয়েন্দাদের জানান যে তার কোড নাম ডাঃ সাবিল। তিনি পর্দার আড়ালে থেকে এইচএম ও জেইএম-এর হয়ে কাজ করতেন। তিনি তরুণদের চিহ্নিত করতেন,অনুপ্রাণিত করতেন, অর্থায়ন করতেন এবং তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগদানের জন্য প্রস্তুত করতেন । অধ্যাপক সাবিলকে ধরতে আশমুজিতে একটি পুলিশ চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয় । অবশেষে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
এদিকে শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে । ধৃতরা হল গুন্দচাল ফ্রিসালের (Gundchahal Frisal) বাসিন্দা গোলাম নবী দারের ( Ghulam Nabi Dar) ছেলে নাসির নবী দার(Nasir Nabi Dar),আব্দুল গনি দারের (Abdul Ghani Dar) ছেলে মোহাম্মদ আবাস দার (Mohd Abass Dar) । বাকি দু’জনের মধ্যে একজন বাদরুর (Badroo) বাসিন্দা আব্দুল মজিদ গণির( Abdul Majid Ganie) ছেলে আকিব মজিদ গণির( Aaqib Majid Ganie) এবং কোকেরগুন্ড ইয়ারিপোরার (Kokergund Yaripora) বাসিন্দা জাহিদ আলী ভাটের(Zahid Ali Bhat) ছেলে আলি মোহম্মদ ভাট(Ali Mohd Bhat) ।
রাজ্য পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে ২০২২ সালের ২৪ মে মেইন চক ইয়ারিপোরাতে একটি পুলিশ দলের উপর একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল, ওই ঘটনায় জড়িত ছিল ধৃত ৪ জন । তবে গ্রেনেডটি লক্ষ্যবস্তু মিস করে এবং কাছাকাছি ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়, যাতে ১৩ জন আহত হয় । ওই ঘটনায় ইয়ারিপোরা থানায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করে সন্ত্রাসীদের সন্ধান চালানো হচ্ছিল । অবশেষে কুলগাম পুলিশ ও সেনাবাহিনীর (1RR) যৌথ অভিযানে ওই চার সন্ত্রাসী সহযোগী/ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২ টি পিস্তলের ম্যাগাজিন,১৪ রাউন্ড গুলি এবং একটি হ্যান্ড গ্রেনেড সহ অপরাধমূলক সামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে । মামলার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।।