দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ অক্টোবর : শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের রচয়িতা কৃষ্ণদাস কবিরাজের তিরোধান দিবস উদযাপন শুরু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার ঝামটপুর গ্রামে । ঝামটপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন ওই বৈষ্ণব কবি । ১৫৮৮ সালে তার মহাপ্রয়াণ ঘটে । প্রতিবছর দুর্গাপূজার পর দ্বাদশী তিথিতে তাঁর তিরোধান দিবস পালন করা হয় । কৃষ্ণদাস কবিরাজের তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে বৈষ্ণব কবির ভিটেবাড়িকে তিনদিন ধরে মেলা চলে । নাম সংকীর্তন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর অনুরাগীরা ভিড় করেন ঝামটপুর গ্রামে ।
জানা গেছে,মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের একনিষ্ঠ সহচর ছিলেন কৃষ্ণদাস কবিরাজ । প্রথম দিকে ঝামটপুর গ্রামে তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। পরে তিনি
বৃন্দাবন ধামে চলে যান । ১৫৮৫ সালের শেষের দিকে বৃন্দাবনে বসে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার সংমিশ্রণে প্রায় ২৪ হাজার পদ সম্বলিত ‘ শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত’ গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন কৃষ্ণদাস কবিরাজ । বৃন্দাবনেই তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন । পরে তাঁর হাতে লেখা শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি,ব্যবহৃত খড়মসহ আরও কিছু জিনিসপত্র বৃন্দাবন থেকে এনে ঝামটপুরে রাখা হয় । ওই সমস্ত সামগ্রী প্রদর্শিত হয় বৈষ্ণব কবির তিরোধান দিবসে । মূলত কবির ব্যবহৃত সামগ্রী দেখার জন্য ও কবিকে শ্রদ্ধা জানাতেই দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসেন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষ ।।