আজিজুর রহমান,বর্ধমান,২৩ মে : কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভয়ভীতি তৈরি হওয়ায় অনেকেই কোভিড পরীক্ষা করাতে চাইছেন না ।সেই ভয়ভীতি দূর করতে গ্রামে গ্রামে কোভিড পরীক্ষা শিবির করা শুরু করলো পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।রবিবার পুরসা হাসপাতালের বিএমওএইচ চিকিৎসক ফারুক হোসেনের তত্বাবধানে গলসির পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উপসর্গ যুক্ত ৫০ জন ও উপসর্গ বিহীন ৯৬ জন গ্রামবাসীর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে মাত্র ১ জনের কোভিড পজেটিভ ধরা পড়ে।ওই আক্রান্তকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ । উপসর্গ থাকা ব্যক্তির থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্যই এমন উদ্দ্যোগ বলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে রাজ্যে কোভিডের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। মৃতের সংখ্যাও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে ।এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে জরুরী হয়ে পড়েছে দ্রুত হারে কোভিড পরীক্ষা করে কোভিড আক্রান্তকে চিহ্নিত করা । সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কোভিড পরীক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বলে দাবি গলসির পুরসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বিএমওএইচ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন ,
কোভিডের কোন একটি উপসর্গ কোনও গ্রামবাসীর মধ্যে থাকলে তাদের কাছে পৌঁছে যাবেন পুরসা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের টিম। তারা ওই ব্যক্তিদের কোভিড পরীক্ষা করবেন।রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়লে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়ে।আক্রান্তকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। এই প্রসঙ্গে বিএমওএইচ জানিয়েছেন ,আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
পুরসা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী হাফিজুল রহমান জানিয়েছেন ,পুুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত কোভিডের রাপিড টেস্ট করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও উপসর্গ থাকলেও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে কোভিডের পরীক্ষা বা কোভিডের চিকিৎসা করাতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার কোভিড পরীক্ষা করানোর ব্যাপারেও অনিহা দেখাচ্ছেন । এরফলে একদিকে যেমন কোভিডের ’চেন’ কাটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন চিকিৎসকেরা,তেমনি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে গ্রামে। আর গ্রামের মানুষজন ডাক্তার না দেখিয়ে জ্বর সর্দি কাশির ওষুধ নিতে এলাকার ওষুধের দোকান গুলিতে শুধু ভিড় করছেন।হাফিজুল রহমান বলেন, ‘গ্রামবাসীদের এমন কাজ কারবার দেখেই হাসপাতালের তরফে গ্রামে গ্রামে গিয়ে কোভিড পরীক্ষা করানোর উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।’
পারাজ গ্রামের বাসিন্দা শেখ বাপন বলেন,
‘পুরসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্রামে এসে কোভিড টেস্টর ব্যবস্থা করায় অনেকেই ভয়ভীতি কাটিয় কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নেওয়ায় কোভিড সংক্রমণ রোধ করা বহুলাংশে সম্ভব হবে ।’।