এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিশ্চন্দ্রপুর,১২জুলাই : জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকমত না থাকায় সারা বছর ধরে আশপাশের বাড়ির নোংরা জল চলাচলের মূল রাস্তায় এসে জমে । বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই । প্রতি বছর বর্ষায় হাঁটু অব্দি জল জমে যায় রাস্তায় । ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চুড়ান্ত নাকাল হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের । তার সঙ্গে রয়েছে জলবাহিত রোগ ও মশা-মাছির উপদ্রব । বিগত প্রায় দেড় দশক ধরে এমনই নরক যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা নয়াটোল এলাকার বাসিন্দারা । স্থানীয়রা জানিয়েছেন,বর্ষার সময় রাস্তাটার অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যে বাড়ির বয়স্ক মানুষরা রাস্তা দিয়ে একা চলাচল করতে সাহস পান না । তাঁদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি । এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
তুলসীহাটা নয়াটোল এলাকার যাতায়তের জন্য একটি পাকা রাস্তা রয়েছে । এই রাস্তা দিয়েই পড়ুয়ারা স্কুল কলেজে যাতায়ত করে । এছাড়া বাজারহাট,ব্যাঙ্ক,রেশন দোকান,অফিস কাছারি যাতায়তের ওই একটিই রাস্তা । দৈনিক গড়ে প্রায় ২-৩ হাজার মানুষ যাতাযাত করেন ওই রাস্তা দিয়ে । সোমবার দেখা গেল তুলসীহাটা নয়াটোল এলাকার যাতায়তের একমাত্র রাস্তার প্রায় তিন’শ মিটার অংশ জলের তলায় । কোথাও কোথাও আবার হাঁটু বরাবর জল ।
স্থানীয় বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধ জর্জিস আলি বলেন, ‘দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই সমস্যায় আমরা ভুগছি । এক হাঁটু জল টপকে পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে সাহস করতে পারি না । কেউ ধরে ধরে নিয়ে গেলে তবেই নামাজ পড়তে যেতে পারি । এছাড়া প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘নিকাশি নালার সমস্যা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যকে বারবার জানানো হয়েছে । কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি ।’
এই বিষয়ে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্বাস আলী বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এলাকায় গিয়ে পরিদর্শনও করে এসেছি । আপাতত এখন পঞ্চায়েত থেকে পাম্প সেট লাগিয়ে জল বার করার কাজ চলছে । জল নিকাশের জন্য হাই ড্রেনের প্রয়োজন । কিন্তু অত টাকা পঞ্চায়েতের পক্ষে খরচ করা সম্ভব নয় । তাই হাইড্রেন নির্মানের জন্য জেলা পরিষদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ।’
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় হাইড্রেন নির্মানের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । মাস দুয়েকের মধ্যেই ড্রেনের কাজ শুরু হয়ে যাবে ।।