এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৩ সেপ্টেম্বর : অবশেষে ওড়িশার তালসারি থেকে বিশ্বভারতীর ‘অপহৃত’ বিদেশি ছাত্রকে উদ্ধার করল পূর্ব মেদিনীপুর বীরভূমের বোলপুর থানা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের যৌথ বাহিনী । এই ঘটনায় ১২ অপহরণকারাইকে আটক করেছে পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে চার জন বীরভূম জেলা,দুবরাজপুরের আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন ও আতাউল্লা শেখ নামে তিনজন, একজন নানুরের এবং বাকি আট জন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যথাক্রমে চন্ডীপুর, ভগবানপুর এবং নন্দকুমার থানার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে,অপহৃত পড়ুয়া চুল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন । আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বাকি ব্যবসায়িক সঙ্গীদের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল । তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে ।
জানা গেছে,অপহৃত ছাত্রের নাম পান্নাকারা থাই । মায়ানমারের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া বিশ্বভারতীর সংস্কৃত বিভাগের পিএইচডি স্কলার ।
। ২০১৫ সাল থেকে তিনি বোলপুরে রয়েছেন । বোলপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরাপল্লি এলাকার একটা বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি । বৃহস্পতিবার দুপুরে একটা চারচাকা গাড়িতে করে ১২-১৪ জনের একটা দল ওই পড়ুয়াকে ভাড়া বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় । পরে সন্ধ্যা নাগাদ এনিয়ে বোলপুর থানায় ইমেলে অভিযোগ দায়ের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় । পুলিশের ওই দলটি প্রথমে শান্তিপুর থানার রতনপল্লি এলাকার দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । তাদের কাছ থেকে ৩ জনের নাম জানতে পারে পুলিশ । তাদের দুবরাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় । পরে সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে বাকিদের অবস্থান জানতে পারে পুলিশ ৷ আজ শনিবার সকালে ওড়িশার তালসারি সমুদ্র সৈকতের কাছ থেকে মায়ানমারের বাসিন্দা ওই পড়ুয়াকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় বাকি অপহরণকারীদের ।
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন,’এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তার মধ্যে ৩ জনকে আজ আদালতে তোলা হয় । বাকিরা ট্রানজিটে আছে । আগামী কাল তাদের আদালতে তোলা হবে । অপহরণে দুটি গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল, দুই গাড়িই আমরা আটক করেছি । অপহৃতের যে ফোন নিয়ে চলে গিয়েছিল অপহরণকারীরা সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন,’ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেটা বৈধ ব্যবসা নয় ।’।