নীলাম্বরের অঞ্চলে যে ঠিকানা বিহীন পত্রলিপি লিখেছি প্রিয়তম তোমায়
তার অঙ্গে অঙ্গে ছিল যে অনুভূতির ছোঁয়া তাদের ছুঁয়ে দেখেছো কি?
শিহরণ জেগেছিল কি আগের মত?
সেদিন দক্ষিণ সমীরণে উঠেছিল
দুরন্ত পবন
পত্রখানি নিয়েছিল টেনে
তোমার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার
অঙ্গীকারে
ছুটছিল সে উজানি পাল তুলে
পেয়েছ কি তারে?
যদি বর্ণগুলো হারিয়ে যায় দমকা বাতাসের উন্মাদনায়
এলোমেলো হয়ে ঝরে পড়ে এদিক ওদিক অবিন্যস্ত..
তুলে নিও তাদের আপনার ক্রোড়ে
সোহাগী আদরে
কোনো এক ভোরে…
হয়ত বা কোনো হিমের রাতে সিক্ত হবে তারা শিশিরের আলতো ছোঁয়ায়
তুলে নিও যতনে, তোমার উষ্ণতার পরশ মাখিয়ে দিও লিপিদের গায়ে গায়ে…
যদি বা কোন বর্ষার রাতে ভেসে যায় নৌকা বেশে মন-পত্রখানি
চিনে নেবে তারে তুমি
সে আমি জানি…
অতীতের স্মৃতিচিহ্ন আছে যে শব্দের খাঁজে খাঁজে
তাদেরও পাবে খুঁজে
অক্ষরের অরণ্যে
সে আমি নিশ্চিত।
লিপিমালার গায়ে গায়ে যে গন্ধ মাখানো আছে…
তাকে চিনে নিও তুমি আবার
এই অবেলায় কোন দূরদেশ থেকে।।