প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ মে : বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই জেএমবি জঙ্গী নিহত হওয়ার সাত বছর পর ফের শিরোনামে বর্ধমানের খাগরাগড় । তবে এবার বিস্ফোরণ বা বোমা বারুদ উদ্ধার নিয়ে নয়। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে পূর্ব মাঠপাড়াএবার হদিস মিললো জাল নোট তৈরীর কারখানার । সেই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বর্ধমান তানার পুলিশ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে বেশ কিছু নকল নোট, নোট ছাপার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দীপঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ।বাকী দুই ধৃত গোপাল সিং এবং বিপুল সরকার বর্ধমান শহরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে,খাগড়াগড় ও তার সংলগ্ন এলাকায় জাল নোটের লেনদেন চলছে বলে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ।তার পরই তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। খোঁজ খবর চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ায় একটি বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে জাল নোটের কারবার।এর বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিল আচমকাই ওই বাড়িতে হানা দেয় ।হাতেনাতে জাল নোট সহ তিনজন ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে ।
পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন এদিন বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃতদের কাছ থেকে ১২হাজার ৫০০টাকা জাল নোট এবং নোট তৈরীর ডাইস, পাউডার, কেমিক্যাল ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরো জানান , সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজুকরে শুক্রবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজত নেওয়া হবে।ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে তারা কতদিন ধরে এই জাল নোট তৈরীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে। এছাড়া জানার চেষ্টা করা সবে ধৃতরা ইতিমধ্যে কতটাকার জাল নোট শহরের ছড়িছে ।
খাগড়াগড়ের বাসিন্দা সেখ আজাদ জানান , গোপাল ষিং ৪-৫ মাস আগে খাগড়াগড়ের পূর্ব পাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নেয় । তার সাথে তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি ও একজন পরিচারিকাও থাকে। এলাকায় সে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিত।কিন্তু সে যে আদতে জাল নোটের কারবারী তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি ।বহিরাগত এই সব লোকের জন্যেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ফের বদনামের ভাগিদার হল খাগড়াগড় । এইসব নিয়ে এলাকাবাষীয় যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। ধৃতদের কড়া শাস্তির দাবী করেছেন খাগড়াগড়ের আদি বাসিন্দারা। ধৃত গোপাল সিং এর বাড়ির পরিচারিকা জানান, পুলিশ এসে বাড়ি থেকে দুটি সাদা কাগজ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে গেছে।।