এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ আগস্ট : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগিং’-এর জেরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের এক যুবক । ধৃতের নাম জয়দীপ ঘোষ । কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামের কাঁদরা স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ধৃত যুবক জয়দীপ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ বিভাগের ছাত্র ছিল এবং সেখান থেকে সে ২০২১ সালে পাশ করে । স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লক থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনার রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে । আর সেই অভিযোগে অভিযুক্ত কেতুগ্রামের জয়দীপ ঘোষ । জয়দীপ ঘটনার দু’দিন পর ১২ আগষ্ট কেতুগ্রামের কাঁদরার বাড়িতে চলে আসে । বাড়িতে আসার পর ১৭ আগষ্ট তার কাছে ইমেলে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করে যাদবপুর থানার পুলিশ । মেল পেয়ে শনিবার যাদবপুর থানায় যায় জয়দীপ । দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার রাতের দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জয়দীপের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে । উল্লেখ্য,এর আগেও তৎকালীন সাংসদ বাবুল সুপ্রীয়কে হেনস্থায় ঘটনাতেও নাম জড়িয়ে ছিল জয়দীপ ঘোষের ।
স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় এনিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হল । তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে দু’জন । গত শুক্রবার যাদবপুর পূর্ব বর্ধমানের মেমারির নাসিম আকতার নামে এক ছাত্রকে যাদবপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে । এরপর শনিবার গ্রেফতার হল কেতুগ্রামের বাসিন্দা জয়দীপ ঘোষ নামে এক প্রাক্তনী ।
জানা গেছে,কেতুগ্রামের কাঁদরার বাসিন্দা বংশীলাল ঘোষ ও উত্তরা ঘোষের দুই ছেলের মধ্যে ছোট জয়দীপ । বড় ছেলে শুভদীপও যাদবপুরে প্রাক্তন ছাত্র । সে বর্তমানে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছে । ছোট জয়দীপ একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিশ্বভারতীতে পড়াশুনা করে । পরে সে যাদবপুরে ভর্তি হয় এবং ২০২১ সালে পাশ করে ।তাদের বাবা বংশীলাল ঘোষের গ্রামে একটি মিষ্টির দোকান আছে । পাশাপাশি তিনি চাষবাসও করেন । বংশীলালবাবু জানান,তার ছোট ছেলে যাদবপুর থানার বিক্রমগড়ে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল এবং চাকরী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল । ওই ঘটনায় তার ছেলে কোনো ভাবেই জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন ।।