এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৪ নভেম্বর : মুদিখানা দোকানের পাশ দিয়েও স্কুলে যায় নাবালিকা ছাত্রীরা ৷ কিছু সেই ছোট্ট মেয়েগুলির প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে প্রৌঢ় দোকানকদারের । পঞ্চম,ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীদের দিকে “যৌন ইঙ্গিত” করত ওই নরপশু । পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চরসুজাপুর গ্রামের মিরাজুল শেখের এই প্রকার ঘৃণ্য আচরণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল মেয়েগুলি । তারা ওই প্রৌঢ়ের কুকীর্তির কথা বাড়িতে জানালে অবিভাবকরা পুলিশের দ্বারস্থ হন । অবশেষে আজ মঙ্গলবার গুনধর মিরাজুল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । আজ ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে তাকে দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে । অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ।
জানা গেছে,নদিয়া জেলার কালীগঞ্জে স্কুলে পড়তে যায় চরসুজাপুরের বেশকিছু ছাত্রী । মিরাজুল শেখের দোকানের সামনে দিয়েই তাদের যাতায়াত করতে হয় । কিন্তু দাদুর বয়সী মিরাজুলের ওই শিশুগুলিকে দেখেও আদিম প্রবৃত্তি জেগে ওঠে । সে মেয়েগুলির দিকে নোংরা ইশারা করত । দিনের পর দিন মিরাজুলের ওই ধরনের নোংরা আচরণের মুখে পড়ে ছোট ছোট ছাত্রীরা কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। আজ তাদের সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে তারা বাড়িত এসে বাবা-মাকে সব কথা খুলে বলে ।
জানা গেছে,অবিভাবকদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন মেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের কাছেও মিরাজুলের কীর্তি ফাঁস করে দেয় । একজন অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিতিতে পুলিশ অভিযুক্ত মিরাজুল শেখের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তাকে পাকড়াও করে ।।

