এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেরালা,২৮ আগস্ট : মুসলিম প্রেমিককে বিয়ে করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেননি হিন্দু তরুনী । আর এই অপরাধে দম্পতিকে মসজিদে ডেকে এনে অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল । ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কাসারগোড জেলার মঞ্জেশ্বরমের কুভানুর মসজিদে । দম্পতি রকমে সেখান থেকে পালিয়ে এসে স্থানীয় একটা মন্দিরে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায় । ওই দম্পতির নাম আব্দুল নিজামুদ্দিন ও তার হিন্দু স্ত্রী অঞ্জলি । হামলাকারীরা দম্পতির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অঞ্জলির ইলেকট্রনিক প্যামফলেট ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় নিজামউদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং হামলার সাথে জড়িত ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদনে জানা গেছে,আব্দুল নিজামুদ্দিনের আইটি ব্যবসা রয়েছে । দু’জনে সম্প্রতি অঞ্জলির সঙ্গে তিনি বিয়ে করেন । কিন্তু একজন মুসলিমকে বিয়ের পরও আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ ধর্ম ত্যাগ করেননি অঞ্জলি ৷ এনিয়ে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ছিল । এক আত্মীয়ের সাথে জড়িত একটি বিরোধ মীমাংসার কথা বলে নিজামুদ্দিন এবং তার হিন্দু স্ত্রী অঞ্জলিকে মসজিদে ডেকে আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে একদল পুরুষের দ্বারা লাঞ্ছিত করা হয় । হামলাকারীরা দম্পতির উপর গরম জল ঢেলে, তাদের মাথায় আঘাত করে । অঞ্জলি বিয়ের পরে ইসলাম গ্রহণ না করার এবং বোরখা না পরে মসজিদে প্রবেশ করার জন্য তাকে গালিগালাজ করা হয় ।
নিজামুদ্দিনের মতে, আক্রমণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল, কারণ গরম জল আগাম প্রস্তুত করা হয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে হামলাকারীরা তার স্ত্রীকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিল । তারা চিৎকার করে বলছিল যে সে একজন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছে এবং তাকে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু পোশাকে মসজিদে নিয়ে এসে তাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । দম্পতি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন এবং কাছাকাছি একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন । দম্পতি মনে করছেন যে ওই মন্দিরটিই তাদের জীবন রক্ষা করেছে । অঞ্জলি, মিডিয়াকে বলেছেন, এই হামলা শুধু নৃশংসই নয়, তার নারীত্বের জন্যও একটি গুরুতর অপমান ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে অর্গানাইজ উইকলি ।