এইদিন ওয়েবডেস্ক,তিরুবন্তপূরম,২৭ আগস্ট : একটি বাণিজ্যিক ভবনকে ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মানের অনুমতি দেওয়ার জন্য কেরালা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল নুরুল ইসলাম সংস্কারিকা সঙ্গম নামে একটি সংস্থা । তারা দাবি করে মসজিদ নির্মান হলে আশপাশের মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে আসতে পারবেন । ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আদালতে শুনানি হয় । কিন্তু আদালত নতুন করে মসজিদ নির্মানের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে । এই বিষয়ে আদালত বলে, এমনিতেই এলাকায় বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থান রয়েছে । রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে অনেক বেশি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মুসলিম সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন জেলা কালেক্টর । তদন্তে তিনি জানতে পারেন এলাকার ৫ কিলোমিটার বৃত্তের ভিতরে ৩৬টি মসজিদ মজুদ রয়েছে । এই দেখে নতুন করে কোনো মসজিদ নির্মানের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কালেক্টর । এরপর সংগঠন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ।
কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণান এই বিষয়ে শুনানির সময় বলেন, ‘কেরালা রাজ্যকে ঈশ্বরের দেশ বলা হয় এবং এটি ধর্মীয় স্থানে পরিপূর্ণ । কেরালায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রার্থনা কক্ষের সংখ্যা বেশি। হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান, ইহুদি, জরথুস্ট্রিয়ান প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ যদি তাদের বাড়ির কাছে একটি ধর্মীয় স্থান ও প্রার্থনা কক্ষ নির্মাণ শুরু করে, তাহলে রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষসহ মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে ।’
বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণনের একটি বেঞ্চ আরও বলেছেন,’পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বাণিজ্যিক ভবনটিকে যদি ধর্মীয় প্রার্থনা কক্ষে রূপান্তরিত করার অনুমতি দেওয়া হয় তবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের সম্ভাবনা রয়েছে, যা একটি সংবেদনশীল বিষয় ।’শুধু তাইই নয়, কোরানের কথা উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘কোরানে কোথাও লেখা নেই যে এলাকার প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি মসজিদ থাকতে হবে । এমনকি হাদিস বা কুরানে বলা হয়নি যে প্রতিটি মুসলমানের বাড়ির কাছে একটি মসজিদ থাকতে হবে । ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে দূরত্ব বাধা হতে পারে না ।’।