এইদিন ওয়েবডেস্ক,তিরুবনন্তপুরম,১৫ জানুয়ারী : কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মেয়ে টি বীনার মালিকানাধীন কোম্পানি এক্সলজিক (Xlogic)-এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার ৷কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রুটাইল লিমিটেড (সিএমআরএল) থেকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে বীণার মালিকানাধীন কোম্পানি এক্সালোজিক সলিউশনে কোটি কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে । বীণার সংস্থা সিএমআরএলকে কোনও পরিষেবা প্রদান না করেই বিপুল পরিমান মাসিক অর্থ পেয়েছে বলে অভিযোগ । এই তদন্তটি কোম্পানির নিবন্ধকের দ্বারা জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে, যাতে কোম্পানি আইনের অধীনে বিভিন্ন লঙ্ঘন এবং অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । কেন্দ্রের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালকের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি দল এটির তদন্ত করবে । ওই দলে রয়েছেন কর্ণাটকের কোম্পানির ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরুণ বিএস, চেন্নাইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম শঙ্কর নারায়ণ এবং পন্ডিচেরি কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ গোকুলনাথ । আগামী চার মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক।
গত ১২ জানুয়ারী কেন্দ্রের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালকের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে,একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানি আইন ২০১৩-এর ধারা ২০৬(৪)-এর বিধানের অধীনে পিনারাই বিজয়নের মেয়ে টি বীনার কোম্পানি এক্সালোজিক সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানি ব্যাঙ্গালোর দ্বারা তদন্ত করা হয়েছিল ৷ যাতে আইনের অধীনে বিভিন্ন লঙ্ঘন ও অপরাধ তুলে ধরে মামলার তদন্তের সুপারিশ করা হয় । আদেশটিতে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ, এর্নাকুলামের দেওয়া রিপোর্টও উল্লেখ করা হয়েছে । পাশাপাশি আয়কর অন্তর্বর্তী নিষ্পত্তি বোর্ড (ITISB) বলেছিল যে ২০১৭ থেকে তিন বছরে কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রুটাইল লিমিটেড (CMRL) দ্বারা এক্সলজিক-কে ১.৭২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
সিএমআরএল থেকে বীণার ফার্মকে মাসিক অর্থ প্রদানের রিপোর্ট প্রকাশের পরে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিরোধীরা বিজয়নের সরকারের বিরুদ্ধে বীণাকে বেআইনিভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। কোনো সেবা ছাড়াই বীণার কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা হয়। অভিযোগ করা হয়েছিল যে সিএমআরএলকে অযাচিত সুবিধা দেওয়ার জন্য বীণার সংস্থাকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
মুভাট্টুপুজা থেকে কংগ্রেস বিধায়ক ম্যাথিউ কুজলান্দন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা তার কোম্পানির জিএসটি পরিশোধ করেননি। ঘুষের অভিযোগে বীণার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে তিনি ভিজিল্যান্স বিভাগের কাছেও গিয়েছিলেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সিএমআরএল এবং কেএসআইডিসি-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে জানিয়েছিল যে আইটিআইএসবি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের অবৈধ অর্থপ্রদান খুঁজে পাওয়া গেছে ।।