সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, দুর্গাপুর(পশ্চিম বর্ধমান), ১৩ মে : শরৎকাল এলেই বাংলার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুজো পুজো গন্ধ। চারদিকে সাজো সাজো রব। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা ঠাকুরের পুজো তখন দুয়ারে হাজির। ওদিকে বৈশাখ মাস মানেই আর এক ঠাকুরের জন্মদিন পালন। তবে এই ‘ঠাকুর’ হলেন ‘মানুষ’ ঠাকুর, কাব্যপ্রেমী বাঙালির আবেগ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম মাস। এই ঠাকুরের জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে বাঙালির উত্তেজনার শেষ নেই। ২৫ শে বৈশাখ,রবিবার কবির জন্মদিন হলেও তার আগে বা পরেও কবির জন্মদিন পালন করা হয়। ২৯ শে বৈশাখ তারই নমুনা দেখা গেল দুর্গাপুরের দু’টি জায়গায়।
কবির ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণ করে দুর্গাপুরের ‘আন্তরিক’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ‘অরভিল পার্ক’-এ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো’-র মত কবির লেখা গান, কবিতা-র মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সঙ্গে ছিল কবির সম্পর্কে মননশীল আলোচনা৷ ‘দুজনে সুজনে’ সংস্থার পক্ষ থেকে অপর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দুর্গাপুরের বিধান পার্কে সংস্থার কর্ণধারের নিজ বাসগৃহে। সেখানেও কবির সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দুটি অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করেন শিবদাস রুদ্র, তরুণ সাহা, আর ডি গৌতম, মধুসূদন রায়, অর্চনা সিংহরায়, চন্দ্রা পাঁজা, হৃদয় সাঁই, কাকলি দাশগুপ্ত, কুহেলী চ্যাটার্জ্জী, মিতালী দেবী, উমাশংকর সেন, সোমা রায়, অন্তরা সিংহরায় সহ এলাকার বহু রবীন্দ্র অনুরাগী শিল্পী। শিশু শিল্পীদের মধ্যে ছিল অঙ্কিত ঘোষ, সায়ন ঘোষ, অনুশ্রিতা মৈত্র, অনুপ্রিতা মৈত্র প্রমুখ।
‘আন্তরিক’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদিকা অন্তরা সিংহরায় বলেন,’রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আসুক প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। সমাজের প্রতিটি স্তরে রবীন্দ্র চর্চা হোক। তবেই বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি জগত সমৃদ্ধ হবে।’ অন্তরা সিংহরায়ের সুরে সুর মিলিয়ে ‘দুজনে সুজনে’-র কর্ণধার উমাশংকর সেন বলেন,’বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা আমাদের সঠিক পথ দেখাবে। সুতরাং রবীন্দ্রনাথ নিয়ে চর্চা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে অপর কর্ণধার সোমা রায়ের বাড়তি সংযোজন – বাঙালির হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।’।